এবার ঢেঁড়স খাওয়ার আগে দশবার ভাববেন? Lady finger
![]() |
এবার ঢেঁড়স খাওয়ার আগে দশবার ভাববেন? Lady finger |
ঢেঁড়স যদি আপনাদের প্রিয় খাবার হয়, সপ্তাহের তিন দিন থেকে চার দিন ঢেঁড়স খান তাহলে, আজ এই আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়ুন। আর আপনি যদি ডায়াবেটিস, জয়েন্টে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কোলেস্টেরলে ভুগে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই পড়া দরকার এই আর্টিকেলটি। আর জানতে পারবেন ঢেঁড়স খেলে কোন কোন রোগ বৃদ্ধি হয়।
- অনেকেরই ভুল ধারণা আছে যে কাশি-কফ হলেই ঢেঁড়স খাওয়া যাবে না, ঢেঁড়স আপনার কফ রোগকে বৃদ্ধি করে। কিন্তু আপনাদের এই ধারণা গুলি সম্পূর্ণ ভুল। ঢেঁড়সের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনাদের অ্যাজমার লক্ষণগুলি দূর করতে পারবে। অ্যাজমা হয় যে সমস্ত কারণে সেইসব উপসর্গকে প্রতিরোধ করতে পারবে।
- যেসব ব্যক্তিদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, তারা যদি নিয়মিত ঢেঁড়স খেতে পারেন তাহলে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।
- যারা খারাপ কোলেস্ট্রল অর্থাৎ LDL এতে ভুগছেন তাদের ঢে ড়স খাওয়ার ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যাবে এবং ভালো কোলেস্টেরলের অর্থাৎ HDL এর মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
- যেসব ব্যক্তিরা মানসিক অবসাদে ভুগছেন তাদের জন্য ঢেড়স খুব ভালো একটি খাবার।
- দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে ঢেঁড়স কার্যকর।
কারা ঢেঁড়স খাবেন না
- যাদের শরীরে কিডনি রোগ অর্থাৎ পিউরিন এর মাত্রা বেশি তারা কোন ভাবেই ঢেঁড়স খাবেন না। ঢেঁড়স খেলে এই সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
- যাদের জীবনে একবার হলেও কিডনিতে পাথর হয়েছে, তারা ভুল করেও ঢেঁড়স খাবেন না। তাহলে এই রোগ আবার পুনরায় সৃষ্টি হতে পারে।
- যেসব ব্যক্তিদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবে ঢেঁড়স খাবেন।
যদি কারোর বিশেষ কোন সমস্যা দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।