কমলালেবু খেলে কি উপকার হয়। কমলা লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা। কমলালেবু খেতে আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি। কমলালেবু খুবই রসালো একটি ফল। এই ফলটির রং সব ফলের থেকে আলাদা এবং এর স্বাদও অন্যান্য ফলের থেকে আলাদা। আমরা কম বেশি প্রায় সবাই জানি যে কমলালেবু খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। তো আজকে আমরা সবাই জেনে নেব এই কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য।
Read More: Orange Juice Benefits: কমলালেবুর জুস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
টক কমলা হজমকে ধীড় করে দেয়। আবার অন্যদিকে কাঁচা কমলা কফ, আম, পিত্ত, বাত দূর করতে সাহায্য করে। সর্দি-কাশি, কফ প্রভৃতি রোগীদের জন্য কমলা ব্যবহার করা খুবই উপকারী। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে কমলালেবুর অনেক বৈশিষ্ট্য বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
কমলালেবু কি?
কমলালেবুর গাছ চির সবুজ গাছ। এই গাছটি প্রায় তিন থেকে চার মিটার উঁচু বা মাঝারি আকারের হয়। কমলালেবু গাছের অনেক ডাল পালা থাকে এবং সেগুলো কাটাযুক্ত হয়। দেখতে অনেকটা ঝোপঝাড়ের মত লাগে। কমলা লেবু খেতে টক-মিষ্টি, প্রভাব উষ্ণ এবং স্পর্শ মসৃন হয়।
কমলার ফুল সুগন্ধি যুক্ত এবং কমনীয় হয়। এগুলো জ্বর কমাতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। কমলালেবুর ফুল যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে প্রস্রাবের বাঁধা দূর হয়ে যাবে। এই কমলা রঙের ফলের কথা বলতে গেলে এর আকৃতি গোলাকার এবং এটি মাংসল হয়। এই ফলটি কাঁচাতে সবুজ রঙের হয় এবং পাকলে লালচে কমলা বা কমলা রঙের হয়। এই কমলা খাওয়ার ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।
কমলাকে বিভিন্ন ভাষায় বলা হয়:
- কমলার বৈজ্ঞানিক নাম হলো Citrus Reticulata Blanco, Syn-Citrus delicious Ten । কমলা হল Rutaceae পরিবারের অন্তর্গত।
- কমলার অন্যান্য নাম গুলি হল:
- হিন্দি নাম হল – কমলা
- ইংরেজি নাম হল – আলগা চামড়াযুক্ত কমলা, ক্লেমেন্টাইন, সোয়াটো, ট্যানজারিন, কিথথলে
- সংস্কৃত নাম হল – কমলা, এরাবতা, নাগরং, ত্বকের সুবাস, সুস্বাদু কমলা, মুখের জন্য মনোরম
- ওড়িয়া নাম হল – কমলা
- উর্দু নাম হল – গুলবাহার (গুল-ই-বাহার)
- কন্নড় নাম হল – হেরালে, ডোরালে
- কোঙ্কনি নাম হল – আনিস
- গুজরাটি নাম হল – নারাঙ্গা (নারাঙ্গা), কমলা (নারাঙ্গি), কমলা (সান্তারা)
- তামিল নাম হল – কমলা, কুদাগু
- তেলেগু নাম হল – কমলপান্ডু, মল্লিকারাঙ্গি
- বাংলা নাম হল – কমলালেবু
- নেপালি নাম হল – সুনতালা
- পাঞ্জাবি নাম হল – সান্ত্রা
- মালায়লাম নাম হল – মধুরনারানা
- মারাঠি নাম হল – নারাং, সান্ত্রা
- আরবি নাম হল – নারাঞ্জ
- ফরাসি নাম হল – কিসমে আজ নারাঞ্জ, নারাং
কমলালেবুর পুষ্টি গুনগুলি:
- ভিটামিন সি
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন বি
- ক্যালোরি
- প্রোটিন
- জল
- কার্বোহাইড্রেট
- চিনি
- ফাইবার
- ম্যাগনেসিয়াম
- পটাশিয়াম
- ফসফরাস ইত্যাদি।
এবার আমরা জেনে নেব কমলালেবুর উপকারিতা সম্পর্কে।
কমলালেবুর উপকারিতা:
১. লোমকূপ সংক্রান্ত রোগে কমলালেবু উপকারী।
কমলালেবুর পাল্প, ফলের খোসা, পাতা ও ফুল ভেজে নিতে হবে। তারপর এটি পিষে নিতে হবে এবং শরীরের লোমকূপের প্রদাহ স্থানে লাগাতে হবে ও নিরাময় হয়ে যাবে। এটি দুর্গন্ধযুক্ত ক্ষত সারাতে কাজ করে ওষুধ হিসেবে।
২. সর্দি ও কাশিতে কমলালেবু উপকারী।
- ১০-২০ মিলিগ্রাম কমলালেবুর রসে মধু এবং শিলা লবণ ভালো করে মেশাতে হবে। তারপর এটি খেলে সর্দি, যক্ষ্মা, হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের রোগ নিরাময় হয়ে যাবে।
- কমলালেবুর রস এক থেকে দুই ফোঁটা নাক দিয়ে খেলে সর্দি-কাশিতে উপকার পাওয়া যাবে।
- ১০-২০ মিলিগ্রাম কমলালেবুর খোসার একটি ক্বাথ তৈরি করুন। এতে ৫-১০ মিলিগ্রাম লেবুর রস মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশিতে উপকার পাওয়া যাবে।
৩. কমলা স্বাস্থ্যকর হার্টের জন্য উপকারী।
- বুকে কমলালেবুর ফুলের রস মালিশ করার ফলে, হার্ট সংক্রান্ত অনেক রোগের অবসান হবে।
- কমলালেবুর খোসা থেকে একটি ক্বাথ তৈরি করতে হবে। এটি ১০-২০ মিলিগ্রামে পান করলে হৃদরোগে উপকার পাওয়া যাবে।
৪. বমি বন্ধ করতে কমলালেবুর উপকারিতা।
- শুকনো কমলালেবুর খোসা গুঁড়া তৈরি করতে হবে। তার সঙ্গে এলাচ, জিরা, শুকনো আদা ও লঙ্কা সমান করে মিশিয়ে গুঁড়া তৈরি করতে হবে। এই পাউডারে (২-৪ গ্রাম) শিলা লবণ মিশিয়ে বাটারমিল্ক বা ঘোল দিয়ে পান করতে হবে। এর ফলে বমি বন্ধ হয়ে যাবে।
- ৫০০ মিলিগ্রাম কমলালেবুর খোসার গুঁড়া খেলে বমি ভালো হয়ে যায়।
৫. কমলালেবু পেট ব্যাথা থেকে মুক্তি দেয়।
কমলালেবুর খোসার ৫০০ মিলিগ্রাম গুঁড়া নিতে হবে। এটি পেট ব্যথা এবং বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করব।
৬.ডায়রিয়ায় কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা।
১০-১৫ মিলিগ্রাম কমলালেবুর রস পান করলে, এটি ডায়রিয়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৭. কমলালেবু মূত্রের সমস্যা নিরাময় করতে সাহায্য করে।
১০-১৫ মিলি কাঁচা নারকেল জলে ১০-২০ মিলিগ্রাম কমলালেবুর রস মেশাতে হবে। তারপর এটি সেবন করলে মূত্রথলির প্রদাহ, কিডনির প্রদাহ এবং মূত্রনালীর প্রদাহে উপশম হবে। এর ফলে প্রস্রাবের সমস্যা, প্রস্রাব কম হওয়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৮.বাতের চিকিৎসায় কমলালেবু উপকারিতা।
কমলালেবুর পাতা, ফুল এবং বাকল দিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর এটি সামান্য গরম করতে হবে এবং ব্যথাযুক্ত স্থানে এবং ফোলা জয়েন্টগুলিতে এটি ভালো করে লাগাতে হবে। এটি ফোলা এবং ব্যথা উভয় ক্ষেত্রেই উপশম দিতে সাহায্য করে।
৯. কমলালেবু লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কমলালেবু খোসার একটি ক্বাথ তৈরি করতে হবে। তারপর এটি ১০-২০ মিলিগ্রামে পান করতে হবে। তাহলে লিভার সুস্থ হয়ে যায় এবং লিভারের কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাবে।
১০.চর্মরোগে কমলালেবুর উপকারিতা।
কমলালেবুর পাতা এবং বাকল পিষে নিতে হবে। তারপর মাথার তালুতে প্রলেপ দিতে হবে। তাহলে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এই পেস্ট দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের ফুসকুড়ি ও একজিমার মতো অত্যন্ত চুলকানি রোগের জন্যও উপকারী একটি উপাদান। এর সাহায্যে শরীরের সাধারণ চুলকানি এবং অন্যান্য চর্মরোগের চিকিৎসা করা যেতে পারে।
১১. কমলালেবু ব্রণ নিরাময়ে সাহায্য করে।
কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে পিষে নিতে হবে। তারপর ওই কমলার লেবু খোসার গুড়ো সাথে গোলাপ জল ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। তাহলে এটি মুখের ব্রণ এবং ব্রণ নিরাময় করতে সাহায্য করে এবং মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
১২. টাইফয়েড নিরাময়ে কমলালেবু সাহায্য করে।
কমলালেবুর ১০-২০ মিলি রস খাওয়ার ফলে, শরীরে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর ব্যবহারে ফলে টাইফয়েড জ্বর ইত্যাদি রোগ সেরে যায়।
১৩. কমলা শরীরের দুর্বলতা সারাতে সাহায্য করে।
কমলালেবুর ফুলের রস বের করে নিতে হবে। এর ১-২ ফোঁটা নাকে রেখে ফুলের রস দিয়ে মালিশ করতে হবে। তাহলে চুলকানি উপশম হবে। এতে শরীরের দুর্বলতাও দূর হয়ে যাবে।
১৪. জ্বর ও কাশি নিরাময়ে কমলালেবু সাহায্য করে।
কমলালেবুর রসের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে পান করলে জ্বর-কাশিতে উপকার পাওয়া যাবে।
১৫. কমলা ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে।
কমলালেবুর খোসার ১৫ থেকে ২০ মিলিগ্রামের একটি ক্বাথ তৈরি করতে হবে। এর সাথে লেবুর রস যোগ করতে হবে এবং সকালে খালি পেটে খেতে হবে। এর কারণে আম খেলে বদহজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। ক্ষুধামন্দা, পেট ফাঁপা, বমি, ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে এই ক্বাথ সেবন করলে উপকার পাওয়া যাবে।
১৬. কমলালেবুর ফলের রস খেলে পিট কৃমি, অত্যধিক তৃষ্ণা, ডায়রিয়া, বদহজম ও বদহজম দূরীকরণে উপকার পাওয়া যাবে।
১৭. শুকনো কমলার খোসার গুঁড়া তৈরি করতে হবে ।তারপর সেই সঙ্গে এলাচ, জিরা, শুকনো আদা ও লঙ্কা সমান করে মিশিয়ে গুঁড়া তৈরি করতে হবে। এই পাউডারে (২ থেকে ৪ গ্রাম) শিলা লবণ মিশিয়ে বাটারমিল্ক বা ঘোল দিয়ে পান করলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
১৮. ডায়াবেটিসে উপকারী কমলালেবু।
কমলালেবুর ফলের পাল্প, কমলার খোসা, পাতা এবং ফুল ভাজতে হবে। তারপর এটি পিষে খেলে ডায়াবেটিস (ডায়াবেটিস) ও প্রস্রাবের সমস্যা দূর হবে।
১৯. কমলালেবু রক্তের সমস্যায় উপকারী উপাদান।
৫ মিলিগ্রাম অ্যাবসিন্থের রসের সঙ্গে ২০ মিলিগ্রাম কমলার রস মেশাতে হবে। এটি সেবন করার ফলে বিভিন্ন ধরনের রক্তের রোগে উপকার পাওয়া যাবে। রক্ত সংক্রান্ত রোগে কমলালেবু খাওয়ার অনেক উপকার আছে।
২০. স্নায়বিক রোগে কমলালেবুর খাওয়ার উপকারিতা।
কমলালেবুতে তাপ ও গুরু গুণ থাকার ফলে এটি নার্ভের রোগ যেমন ব্যথা ইত্যাদিতেও উপকার পাওয়া যায়। পাশাপাশি মাংসপেশির পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
২১. ম্যালেরিয়ায় কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা।
একটি গবেষণা দেখা গেছে যে, কমলালেবুর মধ্যে অ্যান্টি-ম্যালেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। যা ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
২২. কমলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে একটি উপকারী উপাদান।
রক্তচাপের অবনতির একমাত্র কারণ হল ভাত দোষের ভারসাম্যহীনতা। এক্ষেত্রে কমলালেবুতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টি উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২৩. কমলালেবু ক্যান্সারের চিকিৎসায় উপকারী উপাদান।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কমলালেবুতে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য আছে। তাই এটি শরীর থেকে ক্যান্সারের লক্ষণ কমাতেও সাহায্য করে।
২৪.কমলালেবু চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি উপাদান।
একটি গবেষণা দেখা গেছে যে, কমলালেবুর মধ্যে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। তাই এটি চোখের জ্বালাপোড়া, চুলকানি প্রভৃতি সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
২৫. কমলা বিষণ্নতার চিকিৎসায় উপকারী একটি উপাদান।
হতাশাও একটি ভাটা রোগ যা বাতের দোষে ভারসাম্যহীনতার কারণে ঘটে। কমলালেবুর মধ্যে আছে কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্য। তাই এটি এই অবস্থায়তেও উপকার করে।
২৬.পরিপাকতন্ত্রের ব্যাধি নিরাময়ে কমলালেবুর সাহায্য করে।
একটি ছোট শিশুকে প্রতিদিন (৫-১০ মিলি) কমলালেবুর রস খাওয়ালে পেট এবং অন্ত্রের রোগ নিরাময় হয়। এতে শিশুর রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
কিভাবে কমলা খাওয়া যায়? কমলালেবু খাওয়ার নিয়ম:
- ক্বাথ – ৫-১০ মিলিগ্রাম কমলালেবুর রসে ১০-২০ মিলিগ্রাম।
- ওষুধ আকারে আরও উপকারের জন্য, ডাক্তারের পরামর্শে কমলা ব্যবহার করুন।
এবার আমরা জেনে নেব কমলালেবু অপকারিতা সম্পর্কে।
কমলা লেবুর অপকারিতা
কমলালেবু খেলে কি ক্ষতি হয়?
শীতকাল এলেই বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে এই কমলা রঙের ফল। মিষ্টি ও টক কমলা প্রায় সবাই পছন্দ করে। কমলালেবুর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং জল, তাই তারা শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। কমলালেবু অবশ্যই উপকারী, কিন্তু যে কোনো কিছুই অত্যধিক খাওয়া যেমন ক্ষতির কারণ হতে পারে, তেমনই কমলালেবুও অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি হতে পারে।
কারণ কমলালেবুর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি, জল, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ফাইবার এবং ভিটামিন-সি , তাই এটি বেশি খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
- অতিরিক্ত কমলালেবু খাওয়ার ফলে বমি হতে পারে।
- অতিরিক্ত কমলালেবু খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা হতে পারে।
- অতিরিক্ত কমলালেবু খাওয়ার ফলে বদহজম, অম্বল, গ্যাস হতে পারে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় কমলালেবু খাওয়ার ফলে অনিদ্রা জনিত সমস্যা হতে পারে।
- অতিরিক্ত কমলালেবু খাওয়ার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
বেশি কমলা খেলে কি হয়?
যদি দিনে ৪ থেকে ৫টি কমলা খাওয়া হয়। তাহলে এটি শরীরে ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি হবে। যার কারণে পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া ও বমি বমি ভাব হতে পারে। ভিটামিন-সি-এর অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অম্বল, বমি, নিদ্রাহীনতা এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
দিনে কত কমলা খাওয়া ঠিক?
কিছু গুরুতর কারণে, এটি বমি এবং অম্বল হতে পারে। যাদের উচ্চ পটাসিয়ামের মাত্রা আছে, তাদের কমলালেবু খাওয়ার আগে তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
কমলালেবুতে পটাসিয়ামের পরিমাণ কম আছে, তবে শরীরে যদি ইতিমধ্যেই খুব বেশি পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে, তাহলে এটি হাইপারক্যালেমিয়া নামক একটি সম্ভাব্য গুরুতর অবস্থার কারণ হতে পারে।
কমলালেবু অম্লীয় প্রকৃতির হয়, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) আক্রান্ত ব্যক্তিদের অম্বল কারণ হতে পারে। GERD-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের কমলালেবু খাওয়ার আগে তাদের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
উপসংহার:
আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নিলাম কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এছাড়াও জেনে নিলাম বেশি কমলালেবু খেলে কি হয়? কমলালেবুর মধ্যে কি কি উপাদান আছে? কমলালেবু কি কি নামে পরিচিত? কমলালেবুর বিজ্ঞানসম্মত নাম কি? এইসব সমস্ত রকম বিষয়ে জেনে নিলাম। আশা করি, আপনাদের কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি বোধগম্য হয়েছে। আর যদি ভালো লেগে থাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি তাহলে, বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে জানান। আর ধন্যবাদ, জানাই সেইসব বন্ধুদেরকে যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন। সুস্থ থাকুন।