পালং শাক একটি শীতকালীন শাক। পালং শাক পুষ্টিতে ভরপুর। তাই নিয়মিত পালং শাক খাওয়া উচিত। পালং শাকের মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, কপার, প্রোটিন ইত্যাদি। পালং শাক খেতে সুস্বাদু। সহজলভ্য এই শাকটি। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নেব পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য। পালং শাক খেলে কি ক্ষতি হয়? পালন শাকের উপকারিতা কি? শাক বেশি খেলে কি হয়? পালং শাক কি ভিটামিন আছে?
পালংশাক meaning in English - Spinach
পালং শাক বৈজ্ঞানিক নাম:Spinacia oleracea
পালং শাক কিভাবে খাওয়া যায়?
পালং শাক খেয়ে বিভিন্ন রকম ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। যেমন শাক ভাজা, বেগুন দিয়ে শাকের তরকারি, পনির দিয়ে পালং শাকের নানা রকম রেসিপি, ডাল দিয়ে পালং শাকের ডাল বানানো হয়, এছাড়াও মাছের মাথা দিয়েও পালং শাক রান্না করা যায় ইত্যাদি বানানো যায়। তাছাড়া পালং শাকের সিদ্ধ করে সুপ অথবা জুস বানিয়ে খাওয়া যায়।
পালং শাকের মধ্যে ও কি কি উপাদান আছে এবং কত পরিমাণ এবার তা আমরা জেনে নেব।
প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকের মধ্যে আছে:
- কার্বোহাইড্রেট -- ৩.৬ গ্রাম
- খাদ্য শক্তি -- ২৩ কিলোক্যালোরি
- আঁশ -- ০.৭ গ্রাম
- প্রোটিন -- ২.২ গ্রাম
- শর্করা -- ০.৪ গ্রাম
- ভিটামিন এ -- ৪৬৯ মাইক্রগ্রাম
- ভিটামিন সি -- ২৮ মিলিগ্রাম
- ফোলেট -- ১৯৬ মাইক্রগ্রাম
- লিউটন -- ৫৬২৬ মাইক্রগ্রাম
- পটাশিয়াম -- ২০৮ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন কে -- ৪৬৩ মাইক্রোগ্রাম
- ক্যালসিয়াম -- ৯৯ মিলিগ্রাম
- ফ্ল্যাভোনয়েড -- ১০ রকমের বেশি ধরন
- নিকোটিনিক অ্যাসিড -- ০.৫ মিলিগ্রাম
- থায়ামিন -- ০.০৩ মিলিগ্রাম
- রাইবোফ্লাবিন -- ০.০৮ মিলিগ্রাম
- অক্সালিক অ্যাসিড -- ৬৫২ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস -- ২০.৩ মিলিগ্রাম
- আয়রন -- ১১.২ মিলিগ্রাম
- বিটাক্যারোটিন
- ভিটামিন বি
- ভিটামিন ই
- জিংক
- কপার
- মিনারেলস।
আমরা এবার জেনে নেব পালং শাক আমাদের শরীরে কি কি উপকার করে?
পালং শাকের উপকারিতা:
১. পালং শাক শরীরে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
পালং শাক শরীরের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কারোর পালং শাকের মধ্যে আছে পটাশিয়াম। যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। এছাড়াও পালং শাকের মধ্যে আছে ফুলের যার রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
২. পালং শাক শরীরের লবণে ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
পালং শাক শরীরে লবণে ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কেননা, পালং শাকের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। আর পটাশিয়াম খনিজটি শরীরের সোডিয়াম বা লবণের হারিয়ে যাওয়া ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
৩. পালং শাক ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে পালং শাক। কারণ পালং শাকের মধ্যে আছে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তার সঙ্গে রয়েছে বিপুল পরিমাণে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, এছাড়াও বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং খনিজ। এই উপাদানগুলি শরীরের মধ্যে প্রবেশ করলে ওজন রাশের প্রক্রিয়া কে সচল রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে অতিরিক্ত ওজন হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
৪. পালং শাক স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
পালং শাক স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে, কেননা পালং শাকের মধ্যে আছে পটাশিয়াম, ফলেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই যদি প্রতিদিন শরীরের যায় তাহলে মস্তিষ্কের বিশেষ অংশের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তার সঙ্গে পটাশিয়ামের দৌলতে মনোযোগ ক্ষমতাও বৃদ্ধি ঘটে। তাই পালং শাক স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই উপকারী একটি উপাদান।
৫. পালং শাক রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
পালং শাক রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। পালং শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি। এই উপাদান গুলির রক্তাল্পতে দূর করতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার ফলে হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় শরীরে। পালং শাকের ভিটামিন এ রক্তের শ্বেত রক্তকণিকার প্রয়োজনীয় মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন রকম সংক্রমন রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৬. পালং শাক শরীরের বিভিন্ন গাঁটের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
পালং শাক শরীরের বিভিন্ন রকম গাঁটের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও বাতের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা ইত্যাদি কমাতেও সাহায্য করে।
৭. পালং শাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
পালংসা পেট পরিষ্কার রাখতে একটি অপরিহার্য উপাদান। পালং শাক সহজেই হজম শক্তি বাড়ায় তাই অনায়াসে মল প্রস্তুতে সাহায্য করে এবং পেটে জমে থাকা মল বের করে দিতে সহায়তা করে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়ে যায়।
৮. পালং শাক চোখের জন্য খুবই উপকারী।
পালং শাক চোখের জন্য খুবই সাহায্যকারী একটি উপাদান। পালং শাক খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি হয়। চোখে ঝাপসা দেখা বা কম দেখার মত সমস্যা দূর হয়ে যায়। কেননা পালং শাকের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন। এই উপাদানগুলি চোখের রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করার মধ্যে দিয়ে দৃষ্টি শক্তি উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও পালং শাকের মধ্যে আছে ভিটামিন এ যা চোখের বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধানে বিশেষ উপকারী।
৯. পালং শাক হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
পালং শাকের মধ্যে আছে লুইটের নামক একটি পদার্থ যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কম করে ভালো কোলেস্টরলের মাত্রকে বৃদ্ধি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
পালং হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। পালং শাকের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা হার্টের পেশিকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে এবং হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
১০. পালং শাক মুখের ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
পালং সব মুখের ব্রণ দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। পালং শাকের প্যাক আমাদের মুখের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু কিভাবে বানাবো এই প্যাক? জেনে নি-- অল্প কিছুটা পালং শাক নিয়ে, তার সঙ্গে অল্প পরিমাণে জল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিতে হবে। তারপরে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই পদ্ধতি যদি প্রতিদিন করা হয় তাহলে ভেতরে জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদান গুলি বেরিয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবে ব্রণের সমস্যা কমে যাবে।
১১. যৌবন ধরে রাখতে পালং শাক সাহায্য করে।
যৌবন ধরে রাখতে পালং শাক একটি খুবই উপকারী খাবার। কারণ পালং শাকের মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এই এন্টি অক্সিডেন্ট এর কাজ হল কোষের ক্ষয় রোধ করা এবং শরীরের যৌবন ধরে রাখা।
১২. পালং শাক চুল পড়ার সমস্যা কে রোধ করতে পারে।
অতিরিক্ত চুল পড়লে। চুলের চর্চায় পালং শাক খুবই কার্যকর হয়। পালং শাকের মধ্যে আছে আয়রন। যা চুল পড়ার মতো সমস্যাকে কমানোর পাশাপাশি দেহে লোহিত রক্ত কণিকার ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পালং শাকের রস চুলের মধ্যে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর কুড়ি মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এর ফলে উপকার পাওয়া যাবে।
এবার আমরা জেনে নেব পালং শাক খাওয়ার অপকারিতা গুলি কি কি?
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় পালং শাক রাখা উচিত কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় পালং শাক খাওয়া কারো কারো জন্য বিপদজনক হতে পারে। এবার আমরা কাদের জন্য বিপদজনক কতটা বিপদজনক সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেব।
পালং শাকের অপকারিতা:
১. পালং শাক কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়।
পালং শাকের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট। যেটা অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। প্রসাবে অক্সালেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া পাওয়ার ফলে এই পাথর তৈরি হয় কিডনির মধ্যে। কিডনির মধ্যে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর।
প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকের মধ্যে আছে ৯৭০ মিলিগ্রাম অক্সারলেট। ফুটন্ত পালংশকের মধ্যে কিছুটা অস্কালেটের পরিমাণ কমতে পারে। এই শাকের সঙ্গে ক্যালসিয়াম খাবার, যেমন দই বা পনির মিশিয়ে খেলে পাথর গঠন প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
তাই অতিরিক্ত পালং শাক খাওয়া উচিত নয়।
২. অতিরিক্ত পালং শাক সেবন করলে গেঁটে বাত বৃদ্ধি পায়।
পালং শাকের মধ্যে থাকে পিউরিন নামক একটি রাসায়নিক যৌগ। যেটা গাঁটের প্রভাব ফেলে বলে মনে করা হয়। তাই যাদের গাঁটের সমস্যা আছে, তারা পালং শাক খাওয়ার ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. অতিরিক্ত পালং শাক খেলে রক্তে উচ্চচাপ এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য যারা ওষুধ খাচ্ছেন তাদের জন্য ক্ষতিকর ।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে পালং শাক অতিরিক্ত খেলে রক্তচাপ এবং রক্তের শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে ফলে যারা উচ্চচাপ এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ খাচ্ছেন তাদের জন্য ক্ষেত্রে পালং শাক বিপদজনক হতে পারে।
৪. অতিরিক্ত পালং শাক খেলে খনিজ শোষণে বাধা দেয়।
অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার খনিজ শোষণে বাধা দেয়। অক্সালেটে একটি অ্যান্টি নিউট্রিয়েন্টস। পালং শাকের মধ্যে যে অক্সালেট আছে ক্যালসিয়াম এর মত খনিজ পদার্থ শোষণে বাধা সৃষ্টি করে।
তাই অতিরিক্ত পরিমাণে পালং শাক খেলে ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা হতে পারে। এর ফলে থাইরয়েডের সমস্যা বাড়তে পারে।
৫. অতিরিক্ত পালং শাক রক্ত পাতলা কারী ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।
পালং শাকের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে।যেটা রক্ত পাতলাকারী ওষুধের কার্যকারি ক্ষমতা কমায়। স্ট্রোক প্রতিরোধকারী ওষুধের কার্যকারী ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। ফলে রোগীদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
তাই যাদের স্ট্রোকের মত সমস্যা আছে তার আর পালংসা অতিরিক্ত খাবেন না।
পালং শাক সম্পর্কে অন্যান্য প্রশ্ন এবং তার উত্তর:
পালং শাক সবজি হিসেবে কি?
পালং শাক সবজি হিসেবে অম্লধর্মী একটি শাক।
পালং শাক কখন চাষ করা হয়?
পালং শাক শীতকালীন একটি ফসল। তাই একটি শীতকালে চাষ করা হয়।
পালং শাক খেলে কি অ্যালার্জি হয়?
পালং শাকের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পালং শাক অতিরিক্ত খেলে গ্যাস, ফোলা ভাব ও ক্র্যাম্পের মত সমস্যা তৈরি হতে পারে। ফলে অ্যালার্জি হতে পারে।
পালং শাকে কি কি ভিটামিন আছে?
পালং শাকের মধ্যে প্রচুর ভিটামিন আছে। যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, এছাড়াও আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন ইত্যাদি।
প্রতি শতকে পালং শাকের ফলন কত কেজি হয়?
সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করলে প্রতি সাড়িতে ৯-১০ কেজি পর্যন্ত শাক পাওয়া যেতে পারে। তাহলে প্রতি শতকে ২৮ থেকে ৩৭ কেজি শাক পাওয়া যেতে পারে।
পালং শাকে কত ক্যালরি?
প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকের মধ্যে আছে ২৩ কিলো ক্যালরি।
উপসংহার:
আজকে আমরা এই আর্টিকেলে জেনে নিলাম পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য। পালং শাক খেলে কি ক্ষতি হয়? পালন শাকের উপকারিতা কি? শাক বেশি খেলে কি হয়? পালং শাক কি ভিটামিন আছে? এতক্ষণ আমরা জেনে নিলাম পালং শাকের উপকারিতা এবং অপকারিতা। সবকিছু রে যেমন ভালো খারাপ দিক আছে ঠিক সেই রকমই পালং শাকেরও যেমন ভালো দিক আছে সেরকম খারাপ দিকও আছে। আপনাদের কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি বোধগম্য হয়েছে। যদি ভালো লাগে তো বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন, কমেন্ট করুন। যদি কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে লিখে জানান। সুস্থ থাকুন, ধন্যবাদ।