Pumpkin - কুমড়ো খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা। আমাদের কম বেশি প্রায় সকালের প্রিয় একটি সবজি কুমড়ো। সবজি হিসেবে কুমড়ো আমাদের শরীরে নানা রকম পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে। কুমড়োকে আমরা বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাই।
সেই কুমড়ো নিয়েই আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি লিখব। কুমড়ো খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতার সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।
কুমড়োকে কি কিভাবে রান্না করে খাওয়া যায়?
কুমড়োকে সাধারণত তরকারি বানিয়ে খাওয়া হয়। তাছাড়াও আমরা কুমড়ো কে ভাজা বানায়, কুমড়ো দিয়ে বেগনি বানায়, টক, এছাড়াও কুমড়োর বিচি দিয়ে তরকারি, কুমড়োর বিচি ভাজা ইত্যাদি। আবার কখনো কুমড়োকে জুস বানিয়েও খাওয়া হয়।
কুমড়োকে ইংরেজিতে কী বলে?
কুমড়োকে ইংরেজিতে বলে "Pumpkin"।
মিষ্টি কুমড়া English meaning ?
কুমড়োকে ইংরেজিতে বলে "Sweet Pumpkin"
চাল কুমড়া English meaning ?
চাল কুমড়া ইংরেজি নাম - "Wax gourd"
কুমড়ো ফুল in English ?
কুমড়ো ফুলকে ইংরেজিতে বলে Pumpkin flower.
মিষ্টি কুমড়ার বিজ্ঞানসম্মত নাম কি?
মিষ্টি কুমড়ার বিজ্ঞানসম্মত নাম হল Cucurbita Moschata ।
এবার আমরা জেনে নেব প্রতি ১০০ গ্রাম কুমড়ার মধ্যে কতটা পরিমাণে কি কি পুষ্টিগুণ আছে?
প্রতি ১০০ গ্রাম কুমড়ো এর মধ্যে পুষ্টিগুণ আছে :
- খাদ্য শক্তি ১০৯ কিলো ক্যালোরি
- শর্করা ৬.৫ গ্রাম
- খাদ্য আঁশ ০.৫ গ্রাম
- চিনি ২.৭৬ গ্রাম
- ফ্যাট ০.১ গ্রাম
- প্রোটিন ১ গ্রাম
- থায়ামিন ০.০৫ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি ৬.০৬১ মিলিগ্রাম
- ফোলেট ১৬ মাইক্রগ্রাম
- ভিটামিন সি ৯ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন ই ০.৪৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন কে ১.১ মাইক্রগ্রাম
- ক্যালসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম
- লৌহ বা আয়রন ০.৮ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম ১২ মিলিগ্রাম
- ম্যাঙ্গানিজ ০.১২৫ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস ৪৪ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম ৩৪০ মিলিগ্রাম
- সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম
- কোলেস্টোরল ০.০ মিলিগ্রাম
- জিংক ০. ৩২ মিলিগ্রাম
এবার আমরা জেনে নেব কুমড়ো খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য।
মিষ্টি কুমড়োর উপকারিতা:
১. মিষ্টি কুমড়ো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
মিষ্টি কুমড়ো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কারণ মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ই মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে ভিটামিন সি আছে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সর্দি-কাশি ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে।
২. মিষ্টি কুমড়ো চোখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বা বিটা ক্যারোটিন। যা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। চোখের রেটিনা তে বিভিন্ন রকম রোগ হওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে মিষ্টি কুমড়ো।
চোখে ছানি পড়া রোধ এর সঙ্গে চোখের রেটিনা কোষ রক্ষা করে বিটা ক্যারোটিন এবং আলফা ক্যারোটিনের মত ক্যারোটিনয়েড সমূহের কাজ। এটি শুধু মাত্র চোখের অসুখ নয়, ভিটামিন এ অভাবজনিত অন্যান্য রোগের জন্য উপকারী মিষ্টি কুমড়ো। তাই চোখে সুস্থ রাখতে আপনারা আপনাদের খাদ্য তালিকা কুমড়োকে যোগ করুন।
৩. মিষ্টি কুমড়া উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
যারা উজ্জ্বল রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভোগেন তারা নিয়মিত মিষ্টি কুমড়ো খেতে পারেন। কেননা মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম।
আর পটাশিয়াম আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়োর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।
৪. মিষ্টি কুমড়ো খাদ্য হজমে সাহায্য করে।
মিষ্টি কুমড়ো খাবার হজম করতে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা সহজেই খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ এবং পরিপাক নালির খাদ্য সঠিক উপায়ে সরবরাহ করতে কুমড়ো বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৫. মিষ্টি কুমড়ো ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
মিষ্টি কুমড়ো আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে আছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। যা চুল এবং ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
তাছাড়া বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতে মিষ্টি কুমড়া বিশেষভাবে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে জিংক আছে। যা ইমিউনিটি সিস্টেমকে ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৬. মিষ্টি কুমড়ো প্রোস্টেট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কুমড়োর বীজের মধ্যে আছে জিংক। যা পুরুষের শরীরের উর্বরতা বজায় রাখে এবং প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে যে ডাই হাইড্রো এপি অ্যান্ড্রোস্টেনেডিয়ন প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৭. মিষ্টি কুমড়ো জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে।
পিসির জ্বালাপোড়া অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে কুমড়োর বিচি। বাতের ব্যথাও কমাতে সাহায্য করে কুমড়োর বিচি। অস্থি সন্ধির ব্যথা কমাতে কুমড়ার বিচির তেল খুব ভালো কাজ দেয়।
৮. ওজন কমাতে সাহায্য করে কুমড়ো।
কুমড়ো ওজন কমাতে সাহায্য করে। কুমড়োর মধ্যে আছে অনেক কম পরিমাণে ক্যালরি আছে। এতে পটাশিয়াম এবং ফাইবার আছে বিপুল পরিমাণে।
কুমড়ার মধ্যে ফাইবার আছে, যা খিদে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আর পটাশিয়াম দেহের অপ্রয়োজনীয় জল এবং লবণ বের করে দেয় এবং যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৯. গর্ভবতী মায়েদের কুমড়ো উপকারিতা।
গর্ভবতী মায়েদের কুমড়ো খাওয়া উচিত। কারণ কুমড়োর দেহের অনেক শক্তি যোগায় ও গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য কুমড়ো খুব বেশি উপকারী একটি খাবার।
এর পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে এবং কুমড়োর মধ্যে আছে আয়রন যা বাচ্চাকে অক্সিজেন দিতে সাহায্য করে ও মায়ের রক্ত শূন্যতা রোধ করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
১০. কুমড়ো হার্টের জন্য উপকারী।
কুমড়ার রসের মধ্যে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার মধ্যে পলিফেনলিক যৌগ এবং বিটা ক্যারোটিন অন্তর্ভুক্ত থাকে।
ফলে কোলেস্টেরলের জমা গুলি কম করতে এবং ধমনীদের শক্ত হওয়া থেকে রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি রক্তচাপ কমাতে, আপনার হার্ট অ্যাটাক, ষ্টোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে কুমড়োর রস।
১১. ঘুমকে প্ররোচিত করতে সাহায্য করে কুমড়ো রস।
কুমড়োর রসে আরো একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হল শোষক হিসেবে তার সম্ভাব্য ফাংশন। এটি ম্যাগনেসিয়াম এবং ট্রিপটোফান নামক কিছু সক্রিয় উপাদানগুলোর কারণে ঘটে, যেটা শরীরের স্নায়ুজনিত নিউরোট্রান্সমিটারগুলি ঘুম জাগায়।
যারা অনিদ্রায় ভুগছেন বা নিয়মিত ঘুমকে বাধা দিচ্ছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত উপকারী খাবার। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস খেয়ে ঘুমাতে যান। উপকার পাবেন।
১২. কুমড়ো ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কুমড়ো ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কারণ ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করতে সাহায্য করে কুমড়ো। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কুমড়োর মধ্যে পাওয়া এই প্রভাব স্তন এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। কিন্তু মনে রাখতে হবে কুমড়ো ক্যান্সার সারাতে পারে না। ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য শুধু চিকিৎসকের নির্দেশেই কুমড়ো খাওয়া উচিত।
১৩. কুমড়ো ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।
কুমড়োর ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে মিষ্টি কুমড়োর মধ্যে আন্টি ডায়াবেটিক প্রভাব আছে। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেন।
কুমড়ার মধ্যে হাইপোগ্লাসেমিক কার্যকলাপ আছে যা রক্তের মধ্যে শর্করা মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
১৪. কুমড়ো হাঁপানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, কুমড়ো খাওয়া হাঁপানি সমস্যা প্রতিরো ধ করা যেতে পারে। মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও আছে ক্যারোটিনয়েড নামক একটি যৌগ যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ক্ষমতা রয়েছে। ফলে হাঁপানির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে কুমড়ো।
কুমড়ো খাওয়ার নিয়ম:
- অন্যান্য সবজির মতোই কুমড়ো থেকেও তৈরি হয় সুস্বাদু সবজি।
- দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মিষ্টি কুমড়োর ক্ষীর তৈরি করা হয়।
- কুমড়োর চাটনিও তৈরি করা যায়
- এমন কি কুমড়ো লাড্ডু তৈরি হয়।
- কুমড়ো এবং গুড় দিয়ে কাপ কেক তৈরি করতে পারেন।
- রসময় মিষ্টি তৈরিতেও কুমড়ো ব্যবহার করা যেতে পারে।
এবার আমরা জেনে নেব কুমড়ো খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।
কুমড়ো খাওয়ার অপকারিতা:
১. অতিরিক্ত কুমড়ার রস খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত মাত্রায় কুমড়োর রস পান করার ফলে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, ফোলা ভাব এবং মারাত্মক পেট খারাপ হতে পারে।
২. কুমড়ো খেলে অ্যালার্জি হতে পারে।
কুমড়োর মধ্যে এলার্জি আছে তাই যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে। তারা কুমড়ো বা কুমড়ো রস খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। কারণ তখন কুমড়োর রস খেলে মুখে, পাকস্থলীর প্রদাহ, ঠোঁটে, জিহ্বাতে এবং মাড়িতে ফোলা ভাব, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হতে পারে।
৩. অতিরিক্ত মাত্রায় কুমড়োর বীজ খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।
কুমড়োর বীজ অতিরিক্ত খেলে পেট ব্যথা, পেটে ফোলা ভাব, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
৪. কুমড়োর বীজ অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
কুমড়োর বীজ অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। কারণ কুমড়োর বীজ ক্যালরিযুক্ত খাবার।
৫. গর্ভাবস্থায় কুমড়ো খাওয়ার সমস্যা।
মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে ভিটামিন এ আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ফলে এই উপকারই ভিটামিনের পরিমাণ শরীরে অতিরিক্ত হলে গর্ভাবস্থায় সমস্যা এবং অনাগত সন্তানের জন্ম কত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
Read more : Gourd : লাউ খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা Benefits and harms of eating gourd.
Read more : Lichu - লিচু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা।
কুমড়া সম্পর্কে অন্যান্য কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর:
মিষ্টি কুমড়ার বিজ্ঞানসম্মত নাম কি?
মিষ্টি কুমড়ার বিজ্ঞানসম্মত নাম বা বৈজ্ঞানিক নাম হল Cucurbita Moschata ।
কুমড়ো কি?
কুমড়ো হল এক প্রকার ফল জাতীয় সবজি।
মিষ্টি কুমড়ার প্রজাতি কি কি আছে?
মিষ্টি কুমড়া বিভিন্ন প্রজাতির হয়। যেমন - Cucurbita Mixta, C. Pepo, C. Maxima, C. Moschata, C. Alba এবং শংকর প্রজাতিরও হয়।
মিষ্টি কুমড়োর উৎপত্তি স্থান কোথায়?
মিষ্টি কুমড়োর উৎপত্তিস্থল হলো মধ্য আমেরিকা।
মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে কি আছে?
মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন আছে।
উপসংহার:
আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নিলাম কুমড়ো খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ কিছু অজানা তথ্য। কুমড়ো খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা। এই আর্টিকেলটিতে কুমড়ো খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি।
আশা করি আপনাদের কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি বোধগম্য হয়েছে এবং ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে কমেন্টে জানান। আর ধন্যবাদ জানাই বন্ধুরা, আপনাদেরকে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। সুস্থ থাকুন।