Gooseberry Fruit - আমলকি বা আমলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। আমলকি বা আমলা আমাদের সকলের কাছে খুবই পরিচিত একটি শব্দ। আমলকি বা আমলা হল একটি ফল যা আমরা কম বেশি প্রায় সকলেই খেতে ভালবাসি। এটি একটি শীতকালীন ফল। আমলকি প্রায় সারা বিশ্বেই খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। আমলকি যেমন পুষ্টিগুনে ভরপুর ঠিক তেমনি এর উপকারিতাও প্রচুর। যেমন আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস উপকারী, হার্টের জন্য উপকারী ইত্যাদি। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নেব আমলকি বা আমরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্কে।
Gooseberry Fruit - আমলকি বা আমলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। |
আমলকির বিজ্ঞান সম্মত নাম কি?
আমলকির বিজ্ঞান সম্মত নাম হল Phyllanthus emblica।
আমলকির ইংরেজি নাম কি?
আমলকির ইংরেজি নাম হল Amla বা Indian Gooseberry ।
আমলকি গাছ কেমন হয়?
আমলকি গাছ আঁঠ থেকে ১৮ মিটার পর্যন্ত উচ্চতা হয়। গাছটি পর্ণমোচী উদ্ভিদ শ্রেণীর অন্তর্গত। হালকা সবুজ রঙের পাতা। গাছের পাতা যৌগিক পত্রের পত্র ছোট হয়, অনেকটা তেঁতুল পাতার মত। আমলকি ফুল হালকা সবুজ রঙের হয় এবং ঘন্টা আকৃতির হয়। আমলকি ফল হালকা সবুজ বা হলুদ এবং গোল আকৃতির হয়। আমলকি card অনুজ্জ্বল লাল এবং বাদামী রঙের হয়। একটি আমলকি গাছ চার থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই ফল দিতে শুরু করে। আমলকি চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় হলো বর্ষাকাল।
আমলকি কেমন হয়?
আমলকি ছোট ছোট গোল মতো, সবুজ রঙের একটি ফল। এটি স্বাদে টক।
এবার আমরা জেনে নেব আমলকির পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।
আমলকির পুষ্টি উপাদান:
- প্রোটিন
- ফ্যাট
- আয়রন
- ফসফরাস
- ক্যালসিয়াম
- কার্বোহাইড্রেট
- গ্লুকোজ
- ফাইবার
- ভিটামিন সি
- ভিটামিন এ
- গ্যালিক অ্যাসিড
- নিকোটিনিক অ্যাসিড
- ট্যানিক অ্যাসিড
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকির রসের পুষ্টি উপাদান |
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকির রসের পুষ্টি উপাদান:
Sl.no | Nutition | Per100g |
---|---|---|
1. | আদ্রতা | ৮১.২% |
2. | ফ্যাট | ০.১% |
3. | প্রোটিন | ০.৫ |
4. | খনিজ পদার্থ | ০.৭% |
5. | ক্যালসিয়াম | ০.০৫% |
6. | কার্বোহাইড্রেট | ১৪.১% |
7. | ফসফরাস | ০.০২% |
8. | আয়রন | ১.২ মিলিগ্রাম |
9. | নিকোটিনিক অ্যাসিড | ০.২ মিলিগ্রাম |
এবার আমরা জেনে নেব আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
আমলকির উপকারিতা:
১. আমলকির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
আমলকি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কারণ আমলকির মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২. আমলকি দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে:
আমলকি আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। কারণ আমলকির মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিনয়েড। যা চোখের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও আমলকির মধ্যেও আছে ভিটামিন সি যা চোখের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
৩. আমলকির কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
আমলকি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। কারণ আমলকির মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। আমার মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ যা খাদ্যতন্ত্র গুলির মধ্যে স্তুপ করে এবং মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। শরীরের শীতলকারী প্রভাব যে সমস্ত ব্যক্তিদের দেহের গঠন উপাদান গুলি গরম সেই সমস্ত ব্যক্তিদের পাকস্থলীতে মাঝে মাঝে হাওয়া জলন সংবেদন দূর করতে সাহায্য করে আমলকি।
৪. আমলকি ওজন কমাতে সহায়ক:
আমলকি হল ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্যকারী উপাদান। কারণ আমলকির মধ্যে আছে আজ বা তন্তুজা আমাদেরকে বেশি খাবার খাওয়া থেকে রক্ষা করে ও দেহের জমা চড়বে গলিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৫. আমলকি হজম শক্তি উন্নত করে:
আমলকি আমাদের শরীরে হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্যকারী উপাদান। কারণ আমলকির মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, যা হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
৬. আমলকির রক্ত শোধন করে:
আমলকি আমাদের শরীরে রক্ত থেকে অশুদ্ধ পদার্থ এবং অতিরিক্ত ফ্রি রেডিক্যালস অপসারণ করতে সাহায্য করে। একই সময়ে আমাদের শরীরের রক্ত কোষগুলো পুষ্টি সাধন করে। রক্ত কোষগুলির অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
৭. আমলকি কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে সহায়ক:
আমলকি আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর সাথে সাথে লিভারের কার্যকারী ক্ষমতা উন্নত করে। যার ফলে লিভারে অতিরিক্ত মাত্রায় চর্বি জমা হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমতে না দেওয়ার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও অনেকটা কমে।
৮. আমলকি দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে:
আমলকি আমাদের শরীরে দাঁত এবং হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। কারণ আমলকির মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাড় এবং দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমলকি খাওয়ার ফলে দাঁত এবং হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৯. আমলকি গলা ব্যথা উপশম করে:
আমলকি গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
১০. আমলকি চুলের জন্য উপকারী:
আমলকি আমাদের চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। আমলকির তেল ব্যবহার করার ফলে চুল লম্বা হয় এবং চুল ঝরে পড়া হ্রাস পায়। আমলকি এবং নারকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি হয় এছাড়াও চুল পড়া প্রতিরোধ হয়।
১১. আমলকি ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে:
আমলকি ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে একটি সাহায্যকারী উপাদান। কারণ আমলকির মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১২. আমলকি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
আমলকি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে। আমলকির গুড়োর সাথে মধু মিশিয়ে প্রত্যেক দিন সঠিক পরিমাণে খেলে উপকার মিলবে।
১৩. আমলকি পেপটিক আলসার প্রতিরোধ করে:
আমলকি পেপটেক আলসার প্রতিরোধ করতে কার্যকারী উপাদান। প্রত্যেক দিন সকালে সঠিক পরিমাণে আমলকির জুস খাওয়া ফলে একটি আলসার উপশম করা যেতে পারে।
১৪. আমলকি রক্তাল্পতা দূর করে:
আমলকি রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। কারণ আমলকির মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, যা রক্তাল্পতা বা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
১৫. আমলকি হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে:
আমলকি হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কারণ আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে আমলকি। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
আমলকি কি কি ভাবে খাওয়া যায়?
- আমলকিকে আমরা বিভিন্নভাবে খেতে পারি। যেমন আমলকিতে কাঁচা সরাসরি খেতে পারি।
- আমলকিতে শুকিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- আমলকির মোরব্বা বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- এছাড়াও আমলকির চাটনি, আমলকির জুস ইত্যাদি ভাবে খাওয়া যেতে পারে।
আমলকি খাওয়ার সঠিক সময়:
আমলকি খাওয়ার সঠিক সময় হলো সকাল বেলা খালি পেটে। যদি সকালবেলায় খালি পেটে আমলকি খাওয়া যায়, তাহলে আমলকির সব গুনাগুনি আমাদের উপকার দেবে।
এবার আমরা জেনে নেব আমলকি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।
আমলকির অপকারিতা |
আমলকির অপকারিতা:
১. অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে অ্যাসিডিটি হতে পারে:
যেসব ব্যক্তিদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তাদের আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। কারণ আমলকির মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি এর আধিক্য হাইপার অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
২. অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ায় অস্ত্রোপচারে সমস্যা হতে পারে:
যেসব ব্যক্তি সম্প্রতি অস্ত্রোপচার করেছেন তাদেরও আমলা খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে আমলকি খাওয়ার ফলে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ে।
৩. লো ব্লাড সুগারের ব্যক্তিদের আমরা এড়িয়ে চলা উচিত:
যেসব ব্যক্তি লো ব্লাড সুগারের রোগী তাদের আমলকি খাওয়া কমাতে হবে। কারণ আমলকি রক্তের শর্করা পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও যেসব ব্যক্তির ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছেন তাদেরও আমলকি খাওয়া কম করতে হবে।
৪. আমলকি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শুষ্কতা হয়:
কোন ব্যক্তির যদি ত্বক সুস্থ হয়, তাহলে আমলকি খাওয়ার পাশাপাশি বেশি বেশি করে জল পান করতে হবে। কারণ আমলকির মধ্যে উপস্থিতি কিছু উপাদান জলের শূন্যতা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৫. অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে:
অতিরিক্ত মাত্রায় আমলকি খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। তাই যেসব ব্যক্তি প্রত্যেকদিন আমলকি খান তাদের বিপুল পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। ফলে, যাতে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে থাকতে পারে।
৬. অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে:
অতিরিক্ত মাত্রায় আমলকি খাওয়ার ফলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে। কারণ আমলকির মধ্যে উপস্থিত আছে ভিটামিন সি। অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন সি সেবন করলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে। এছাড়া প্রস্রাবে গন্ধ হতে পারে।
৭. কিডনির সমস্যায় রোগীদের আমলকি খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলা উচিত:
যেসব ব্যক্তি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের আমলকি খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলাই উচিত। কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় আমলকি খেলে শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে কিডনি ঠিক মত কাজ করতে পারেনা।
৮. উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের আমলকি খাওয়া উচিত নয়:
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের আমলকি খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় আমলকি খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
আমলকি সম্পর্কে অন্যান্য একটি প্রশ্ন এবং তার উত্তর:
কোন রোগে আমলকি খাওয়া উচিত নয়?
যেসব ব্যক্তিদের রক্তের শর্করার পরিমাণ কম তাদের আমলকি খাওয়া উচিত হবে না।
রোজ আমলকি খেলে কি হবে?
রোজ সঠিক পরিমাণে আমলকি খেলে আমাদের শরীরে উপকার হবে। যেমন - রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি হবে, হজম শক্তি উন্নত হবে, চোখের জন্য উপকারী ইত্যাদি।
এক দিনে কত আমলকি খাওয়া উচিত?
এক দিনে একটি আমলকি খাওয়া উচিত।
আমলকির কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি?
হ্যাঁ, আছে। যেসব ব্যক্তিদের অ্যালার্জি আছে। তাদের আমলকি না খাওয়ায় উচিত, কারণ তাদের অ্যালার্জি হতে পারে।
আমলকির প্রভাব কি?
আমলকির প্রভাব হলো শীতল।
আমলকি খাওয়ার সঠিক উপায় কি?
আমলকি খাওয়ার উপায় হল জুস হিসেবেও পান করতে পারেন, আবার কাঁচা আমলকিও খেতে পারেন, শুকিয়েও খেতে পারেন ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে আমলকি।
রাতে আমলকি খাওয়া উচিত নয় কেন?
রাতে আমলকি জুস খাওয়া উচিত নয় কারণ এর শীতল বৈশিষ্ট্য ও কষাকষি স্বাদ তাই।
আমলকি খাওয়ার সঠিক সময় কখন?
আমলকি খাওয়ার সঠিক সময় হল সকাল বেলা খালি পেটে। কারণ সকাল বেলায় খেলেই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী হবে।
আমলকি কি রক্তচাপ বাড়ায়?
আমলকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। কারণ, আমলকির মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি।
আমলকি কি লিভারের জন্য খারাপ?
না, আমলকি লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই যাদের লিভারের সমস্যা আছে তারা যদি নিয়মিত সঠিক পরিমাণে আমলকি খায় তাহলে তাদের লিভার সুস্থ থাকবে।
আমলকি কোন রোগের জন্য উপকারী?
আমলকি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল।
কোন মাসে আমলকি খাওয়া উচিত?
আমলকি শীতকালে খাওয়াই উচিত।
কাঁচা আমলকি কিভাবে খাবেন?
কাঁচা আমলকি আচার করে, শুকনো পাউডার আকারে, বা ঘরে তৈরি মিষ্টি বেরি তৈরির আকারে খাওয়া যেতে পারে।
আমলকি কি তাপ সৃষ্টি করে?
আমলকি শীতল প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আমলকি কি কোলেস্টেরল কমায়?
হ্যাঁ আমলকি আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
উপসংহার:
আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নিলাম আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এছাড়াও জেনে নিলাম আমলকি গাছ কেমন হয়, আমলকি কেমন হয়, আমলকির বিজ্ঞান সম্মত নাম, আমলকির ইংরেজি নাম, আমলকি কি কি ভাবে খাওয়া যায়, আমলকি খাওয়ার সঠিক সময় ইত্যাদি সমস্ত রকম বিষয় জেনে নিলাম। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে বোধগম্য হয়েছে। যদি ভালো লাগে তো বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। কোন সমস্যা থাকলে কমেন্টে জানান। ধন্যবাদ, জানাই যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন। সুস্থ থাকুন।