Strawberry Benefits for Health - স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - স্ট্রবেরি এই ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও ঠিক তেমনি সুন্দর। ফলটি দেখতে আমাদের হৃদয়ের মতো। ফলটির রংই এমন যে দেখলেই ওর প্রতি আকর্ষণ হয়ে যায়। তো আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নেব এই রসালো টক মিষ্টি স্বাদের স্ট্রবেরি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
স্ট্রবেরি খেতে কেমন?
স্ট্রবেরি খেতে টক-মিষ্টি সুস্বাদু।
স্ট্রবেরির রং কি?
স্টবেরি রং হলো লাল।
স্ট্রবেরির প্রকার ভেদ:
স্ট্রবেরিকে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথমত, জুন বিয়ারিং-
দ্বিতীয়ত, এভার বেয়ারিং-
এই স্ট্রবেরিটি বছরে দুইবার হয়। গ্রীষ্মকাল এবং বসন্তকালে। Everbearing স্ট্রবেরির সব থেকে বেশি পরিচিত জাত হল Laramie এবং Ozark Beauty।
তৃতীয়ত, দিন নিরপেক্ষ-
গ্রীষ্মকাল জুড়ে যে স্ট্রবেরি পাওয়া যায় তাকে ডে নিউট্রাল বলা হয়। এই স্ট্রবেরি গুলি সব থেকে বেশি সুস্বাদু বলে বিবেচিত হয়েছে।
এখন আমরা জেনে নেব স্ট্রবেরির পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।
প্রতি ১০০ গ্রাম স্ট্রবেরির পুষ্টি উপাদান:
- জল - ৯০.৯৫
- খাদ্য শক্তি - ৩২ কিলোক্যালরি
- প্রোটিন - ০.৬৭ গ্রাম
- মোট লিপিড (চর্বি) - ০.৩০ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট - ৭.৬৮ গ্রাম
- ফাইবার - ২.০ গ্রাম
- চিনি - ৪.৮৯ গ্রাম
খনিজ
- ক্যালসিয়াম - ১৬ মিলিগ্রাম
- আয়রন - ০.৪১ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম - ১৩ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস - ২৪ মিলিগ্রাম
- পটাসিয়াম - ১৫৩ মিলিগ্রাম
- সোডিয়াম - ১ মি.গ্রা
- জিংক - ০.১৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন
- ভিটামিন সি - ৫৮.৮ মিলিগ্রাম
- থায়ামিন - ০.০২৪ মিলিগ্রাম
- রিবোফ্লাভিন - ০.০২২ মিলিগ্রাম
- নিয়াসিন - ৩৮৬ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি-৬ - ০.০৪৭ মিলিগ্রাম
- ফোলেট - ২৪ মাইক্রোগ্রাম
- ভিটামিন এ - ১ মাইক্রোগ্রাম
- ভিটামিন ই, (আলফা-টোকোফেরল) - ০.২৯ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন কে (ফাইলোকুইনোন) - ২.২ মাইক্রোগ্রাম
লিপিড
- ফ্যাটি অ্যাসিড, মোট স্যাচুরেটেড - ০.০১৫ গ্রাম
- ফ্যাটি অ্যাসিড, মোট মনোস্যাচুরেটেড - ০.০৪৩ গ্রাম
- ফ্যাটি অ্যাসিড, মোট পলিআনস্যাচুরেটেড - ০.১৫৫ গ্রাম।
এবার আমরা জেনে নেব স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য।
স্ট্রবেরির উপকারিতা:
১. স্ট্রবেরি চুল পড়া রোধ করে:
স্ট্রবেরি চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। কারণ এটি চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখেএবং চুল পড়ার রোধ করতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে চুল পড়ে এবং চুল ভেঙে যায়। এই সব সমস্যা দূর করার জন্য স্ট্রবেরি খাওয়া উপকারী। কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে ভিটামিন সি, যা চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। চুল সুস্থ রাখতে নারকেল তেল এবং কিছু পরিমাণে মধুর সঙ্গে স্ট্রবেরি পেস্ট ভালো ভাবে মিশিয়ে নেওয়া পর, হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এতে চুল পড়ার কমে যাবে তার সঙ্গে চুলের সাইন ফিরে আসবে।
২. স্ট্রবেরি ত্বক সুস্থ রাখে:
স্ট্রবেরি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। স্ট্রবেরি মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল, যা আ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসাবে কাজ করে। অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে স্ট্রবেরির মধ্যে। এই উপাদানটির জন্য এই স্ট্রবেরির রং লাল হয় এবং চকচকে হয়। এই উপাদানটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৩. স্ট্রবেরি রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে:
স্ট্রবেরির মধ্যে খুব কম পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আছে। তাই একে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য স্ট্রবেরী খুব উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
৪. স্ট্রবেরি প্রদাহ কমাতে সহায়ক:
স্ট্রবেরি বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। স্ট্রবেরির মধ্যে থাকা পলিফেনল এবং পুষ্টিগুণ হাঁটুর ফোলা ভাব, ব্যথা সবই কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এর অভাবে মাড়ির প্রদাহ কমাতে স্ট্রবেরি সাহায্য করে।
৫. স্ট্রবেরি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে:
স্ট্রবেরির মধ্যে পেকটিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা এক প্রকার দ্রবনীয় ফাইবার।এটি আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৬. স্ট্রবেরি কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসায় সাহায্য করে:
স্ট্রবেরি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কারণ স্ট্রবেরি মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। ফলের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।
৭. স্ট্রবেরি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে:
স্ট্রবেরি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চোখের ছানি এবং চোখের অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত ফ্লাভোনয়েড যৌগটি পরিমাণ বৃদ্ধি চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে স্ট্রবেরি।
৮. স্ট্রবেরি পুরুষদের জন্য উপকারী:
স্ট্রবেরি পুরুষদের জন্য খুবই উপকারী। স্ট্রবেরির মধ্যে অ্যাফ্রোডিসিয়াক নামক একটি উপাদান পাওয়া যায় যা পুরুষের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। স্ট্রবেরি খাওয়ার ফলে পুরুষত্বহীনতায় উপকারী বলে বিবেচিত হয়েছে।
৯. স্ট্রবেরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক:
স্ট্রবেরি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
১০. স্ট্রবেরি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখে:
স্ট্রবেরি খাওয়ার ফলে আমাদের মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত ফ্লাভোনয়েড গুলি যা বয়সের সাথে স্মৃতিশক্তি রোধ করতে সাহায্য করে। স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত প্রাকৃতিক উপাদান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা আমাদের মনকে চাপ মুক্ত করে রাখতে সাহায্য করে।
১১. স্ট্রবেরি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:
স্ট্রবেরি আমাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারণ, স্ট্রবেরির মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণে পটাশিয়াম যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এছাড়া ও স্ট্রবেরির মধ্যে আছে দ্রবনীয় ফাইবার যা খারাপ কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা কমিয়ে আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১২. স্ট্রবেরি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে:
আর মজবুত রাখতে স্ট্রবেরি খুবই উপকারী উপাদান। সাধারণত, স্ট্রবেরিকে বেরির অধীনে বিবেচনা করা হয়ে থাকে এবং বর্ধিত বয়সের কারণে, দুর্বল হয়ে পড়া হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রেখে বেরিগুলোকে সহায়ক বলে মনে করা হয়। এছাড়াও স্ট্রবেরির মধ্যে আছে ম্যাগনেসিয়াম যা হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
১৩. স্ট্রবেরি ওজন কমাতে সহায়ক:
স্ট্রবেরি হল একটি ফল, যা কম ক্যালরিযুক্ত ফল। তাই এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ স্ট্রবেরির মধ্যে মাত্র ৫০ ক্যালোরি থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি খাওয়ার পরে আপনার পেট অনেক সময় পর্যন্ত ভরা থাকে। তাই আপনাদের খাদ্য তালিকায় স্ট্রবেরি অন্তর্ভুক্ত করে আপনাদের ওজন কমাতে পারেন।
১৪. স্ট্রবেরি হার্ট সুস্থ রাখে:
স্ট্রবেরির মধ্যে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য এবং পলিফেনল যৌগ সমৃদ্ধ। তাই স্ট্রবেরি আমাদের হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রবেরি আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখে।
১৪. স্ট্রবেরি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়ক:
স্ট্রবেরি ক্যান্সারের মতো মরন রোগের প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রবেরির মধ্যে আছে ক্যান্সার প্রতিরোধক এবং ক্যান্সার থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য। যা ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং ক্যান্সারের চিকিৎসায় কার্যকর প্রভাব দেখাতে পারে। তাছাড়াও স্ট্রবেরির মধ্যে আছে কেমোপ্রিভনটিভ বৈশিষ্ট্য, যা ক্যান্সারে কোষের বিস্তার রোধ করতে কাজ করে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে স্ট্রবেরি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধেও উপকারী।
১৫. স্ট্রবেরি দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখে:
দাঁতের ক্ষতি না করে দাঁত সাদা করতে চাইলে স্ট্রবেরি ব্যবহার করা যেতে পারে। স্ট্রবেরি দাঁত সাদা করার প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি দাঁতের হলদে ভাব দূর করে এবং দাঁতকে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে প্ল্যাক এবং দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টিকারী এনজাইম তৈরিতে বাঁধা সৃষ্টি করে।
স্ট্রবেরি কিভাবে ব্যবহার করা যাবে:
- স্ট্রবেরি সরাসরি অথবা কাটার পর খাওয়া যেতে পারে।
- জুস করেও খাওয়া যেতে পারে স্ট্রবেরি।
- ফলের সালাদে যোগ করে খাওয়া যেতে পারে স্ট্রবেরি।
- স্ট্রবেরি স্যুপ বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
- আবার স্ট্রবেরির আঁচার বানিয়েও রুটির সাথে খাওয়া যেতে পারে।
এবার আমরা জেনে নেব স্ট্রবেরি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।
স্ট্রবেরি অপকারিতা:
- স্ট্রবেরি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলে গ্যাস ডায়রিয়া অম্বল ইত্যাদি হতে পারে। কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।
- স্ট্রবেরি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলে ক্র্যাম্প হতে পারে। তাছাড়াও এতে, হিমোক্রোমাটোসিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।
- স্ট্রবেরী অতিরিক্ত মাছের খাওয়ার ফলের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে পেতে পারে। ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্ট্রবেরি সম্পর্কে অন্যান্য কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর:
স্ট্রবেরি খেলে কি লাভ?
স্ট্রবেরি খাওয়ার ফলে ওজন কমে, ক্যান্সার থেকে রক্ষা হয়, হার্ট সুস্থ রাখে, দাঁত সুস্থ রাখে, চোখ সুস্থ রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ইত্যাদি সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি কীভাবে খাবেন?
স্ট্রবেরি সরাসরি খাওয়া যেতে পারে বা কাটার পরও খাওয়া যেতে পারে, আবার স্ট্রবেরি সুখ পানীয় খাওয়া যেতে পারে।
1 দিনে কত স্ট্রবেরি খাওয়া উচিত?
একদিনে এক থেকে দেড় কাপ স্ট্রবেরি খাওয়া যেতে পারে।
স্ট্রবেরি এর প্রভাব কি?
স্ট্রবেরি এমন একটি ফল যার মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। তাই এই ফল খাওয়ার প্রভাব হলো গরম।
কাদের স্ট্রবেরি খাওয়া উচিত নয়?
সার্জারি বা অস্ত্রোপাচারের সময় আগেই বা পড়ে স্ট্রবেরি খাওয়া উচিত নয়।
স্ট্রবেরি খাওয়ার সেরা সময় কি?
ফল খাওয়ার সব থেকে ভালো সময় হলো সকাল বেলা। তাই স্ট্রবেরি খাওয়ার সঠিক সময় হল সকাল বেলায়।
সকালে স্ট্রবেরি খাওয়া কি ভালো?
সকালবেলায় সব ধরনের বেরি যেমন বলুবেরি, স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি এবং ব্ল্যাকবেরি শুরু করার সঠিক সময়। এগুলির মধ্যে কম পরিমাণে ক্যালরি আছে, ফাইবার বেশি এবং রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও আছে।
স্ট্রবেরিতে কত ভিটামিন আছে?
স্ট্রবেরি এর মধ্যে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৯ ইত্যাদি ভিটামিন আছে।
স্ট্রবেরি কি ব্লাড সুগার বাড়ায়?
ডায়াবেটিসের রোগীদের সাধারণত গ্লাইসি কম লোড যুক্ত খাবার খাওয়ার লক্ষ্য রাখেন। আর ফল হলো কম গ্লাইসোমিক যুক্ত খাবার। আর স্ট্রবেরি এর মধ্যেই পরে তাই স্ট্রবেরি খাওয়া যেতে পারে। ফল দ্রুত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায় না।
প্রতি কেজি স্ট্রবেরি কত?
স্ট্রবেরির কেজি হল ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি।
আমি কি রাতে স্ট্রবেরি খেতে পারি?
রাতের স্ট্রবেরি খেতে পারেন সঠিক পরিমাণ মত, মানে এক কাপের বেশি যেন স্ট্রবেরি খাওয়া না হয়।
ভারতে স্ট্রবেরি কোথায় জন্মায়?
হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের স্ট্রবেরি চাষ করা হয়।
স্ট্রবেরি ঋতু কখন?
স্ট্রবেরি সাধারণত সেপ্টেম্বরও অক্টোবর মাসে গঠন করা হয়ে থাকে। কিন্তু শীতল জায়গায় এটি ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসেও বপন করা যেতে পারে।
কোন মাসে স্ট্রবেরি জন্মায়?
স্ট্রবেরির অন্য নাম কি?
স্ট্রবেরির অন্য নাম হলো স্ট্রবেরী রুবার্ব বা স্ট্রবেরি শর্টকেকও বলা হয়।
স্ট্রবেরি কি গ্রীষ্মের ফল?
স্ট্রবেরি হল সাধারণত বসন্ত এবং গ্রীষ্মকালীন ফল।
কিভাবে মিষ্টি স্ট্রবেরি কিনতে?
স্ট্রবেরি যদি উজ্জ্বল লাল রঙের হয় তাহলে পাকা এবং মিষ্টি হবে।
সবচেয়ে সুস্বাদু স্ট্রবেরি কোনটি?
ক্যামারোসা স্ট্রবেরি হল সব থেকে সাধারণ এবং সব থেকে সুস্বাদু স্ট্রবেরি জাত গুলোর মধ্যে একটি।
স্ট্রবেরি সবচেয়ে বড় জাতের কি?
ফ্রাগারিয়া 'চ্যান্ডলার' সবথেকে বড় জাতের স্ট্রবেরি।
কোথায় স্ট্রবেরি উদ্ভিদ পেতে?
ভারতে হিমাচল প্রদেশ কাশ্মীর এবং উত্তরাখন্ডে উপরে অংশ স্ট্রবেরি উদ্ভিদ বা স্ট্রবেরি গাছ দেখা যায়।
স্ট্রবেরি একটি ভারতীয় ফল?
হ্যাঁ, স্ট্রবেরি একটি ভারতীয় ফল।
স্ট্রবেরিকে হিন্দিতে কী বলা হয়?
স্ট্রবেরিকে হিন্দিতে বলে হিসালু বা ঝাড়বেরি।
উপসংহার:
আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নিলাম স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য এছাড়াও জেনে নিলাম। স্ট্রবেরি খেতে কেমন হয় স্ট্রবেরি কত রকমের হয় ইত্যাদি সমস্ত রকম তথ্য জেনে নিলাম। যদি কোন সমস্যা থাকে কমেন্টে জানান। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে বোধগম্য হয়েছে। আর ধন্যবাদ জানাই আপনাদেরকে বন্ধুরা যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন। সুস্থ থাকুন।