Itching:চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন।চুলকানি হলো একটি এমন সমস্যা, যা আমাদের প্রায় কম-বেশি প্রত্যেক মানুষেরই আছে। যা অস্বস্তিকর এবং বিরক্তকর। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নেব চুলকানি সম্পর্কে।
চুলকানি কি?
চুলকানি হল এমন একটি সমস্যা, যা অস্বস্তিকর বিরক্ত কর সংবেদন যেটা আপনাকে আপনার ত্বককে ঘষতে বা আজ রাতে বাধ্য করে। চিকিৎসকের ভাষায় চুলকানি কে বলে প্রুরিটাস।
চুলকানি রুক্ষ সুক্ষ ত্বক, গর্ভাবস্থায় ও চর্ম রোগের কারণে হতে পারে। চুলকানি প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে খুবই সাধারণ। কেননা, বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই রুক্ষ হয়ে যায়। চর্মরোগ আমাদের শরীরের একটি অংশের সীমাবদ্ধ হতে পারে না অথবা সারা শরীরে বা বিভিন্ন স্থানে ঘটতে পারে।
চুলকানির কারণ এর ওপর নির্ভর করে যে আপনার ত্বক স্বাভাবিক দেখাতে পারে অথবা লাল অথবা রুক্ষ বা ফোসকা থাকতে পারে। ঠান্ডা জলে স্নান করা বা মশ্চারাইজার, অ্যান্টি ইজ ক্রিম বা লোসেন ইত্যাদি ব্যবহার করলে চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
যাইহোক চুলকানি সম্পূর্ণরূপে দূর করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
চুলকানির লক্ষণ কি?
চুলকানি মাথার ত্বক, হাত, পা অথবা পুরো শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে। চুলকানির লক্ষণ বা উপসর্গ হলো ত্বকে লাল ভাব, আঁচড়ের চিহ্ন, ফোসকা সূক্ষ্ম ও ফাটা ত্বক, চামড়া যুক্ত অবার রুক্ষ দাগ সাথে হতে পারে।
চুলকানি কোন সমস্যার লক্ষণ হতে পারে?
রুক্ষ শুষ্ক ত্বকে চুলকানির একটি খুবই সাধারণ কারণ। রুক্ষ শুষ্ক ত্বকে ঘামাচি হলেও ফুসকুড়ি সৃষ্টি হতে পারে। আবার যকৃতে সমস্যা হলে অনেক সময় ত্বকে নানা রকম পরিবর্তন হয়। যেমন চুলকানি, ফুসকুড়ি, লাল ভাব ইত্যাদি।
চুলকানির কারণ:
চুলকানি বিভিন্ন রকম কারণে হতে পারে। তা আমরা এখন জেনে নেব।
চুলকানি কেন চুলকায়:
চুলকানি এটা ত্বকের সমস্যা। অনেক সময় নির্দিষ্ট কিছু রোগের কারণে চুলকানি হতে পারে। যেমন স্নায়ু রোগ, মানসিক অসুস্থতা, অ্যালার্জি, যকৃতের সমস্যা, এই রকম অনেক কারণে হতে পারে। আবার অনেক সময় চুলকানির কারণও জানা যায় না।
চুলকানি প্রতিরোধ:
- চুলকানি প্রতিরোধ করার জন্য এই পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করতে পারেন।
- রোদে পোড়া ও ত্বকের ক্ষতি রোধ করার জন্য নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
- আপনার ত্বকে ক্রিম ও লোসেন ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি আপনার ত্বকে রুক্ষ শুষ্কতা থেকে প্রতিরোধ করতে পারে।
- হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করতে পারেন।
- যে জায়গায় আপনার ঘামাচি হয় সেই জায়গাটাতে আপনি ভেজা কাপড় বা বরফ নিয়ে জায়গাটায় লাগালে চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন।
- সিল্ক বা উলের মত কাপড় এড়িয়ে সুতির কাপড় পড়ুন। উল বা সিল্কের কাপড় চুলকানির কারণ।
- চুলকানি প্রতিরোধ করার জন্য এই পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করতে পারেন।
- রোদে পোড়া ও ত্বকের ক্ষতি রোধ করার জন্য নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
- আপনার ত্বকে ক্রিম ও লোসেন ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি আপনার ত্বকে রুক্ষ শুষ্কতা থেকে প্রতিরোধ করতে পারে।
- হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করতে পারেন।
- যে জায়গায় আপনার ঘামাচি হয় সেই জায়গাটাতে আপনি ভেজা কাপড় বা বরফ নিয়ে জায়গাটায় লাগালে চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন।
- সিল্ক বা উলের মত কাপড় এড়িয়ে সুতির কাপড় পড়ুন। উল বা সিল্কের কাপড় চুলকানির কারণ।
চুলকানির সময় কি খাওয়া উচিত:
ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার যেমন মাছের তেল:
মাছের তেল ত্বকের চুলকানি ও প্রদাহ থেকে উপশম পেতে সাহায্য করে।
বেরি:
বলুবেরির মতো বায়োফ্ল্যাভোনয়েড বেশি থাকে এমন বেরি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে চুলকানিতে উপকার মিলবে।
কলা:
কলার মধ্যে আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি যা চুলকানি প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
সতেজ শাকসবজি:
নানারকমের সতেজ শাক-সবজি ফলমূল খাওয়া উচিত। তা আমাদের শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে চুলকানি প্রতিরোধ হয়।
চিকেন স্যুপ:
চিকেন স্যুপ খাওয়ার ফলে ত্বকের স্বাস্থ্য সঠিক থাকে। কারণ এটা অ্যামিনো অ্যাসিড গ্লাইসিন প্রদানের জন্য খুবই উপকারী।
উপসংহার:
আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নিলাম চুলকানি সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি বোঝার মতো হয়েছে। যদি ভালো লাগে তো বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ বন্ধুদের। সুস্থ থাকুন।