Mango Juice Benefits: আমের জুস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। আম ফলের রাজা হিসেবেই পরিচিত। মিষ্টি স্বাদের জন্য আম আমাদের অনেকের কাছেই খুবই প্রিয়। আর আমের রসের স্বাদ তো আরও সুস্বাদু। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নেব আমের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
Mango Juice Benefits: আমের জুস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। |
প্রতি ১০০ গ্রাম আমের রসের পুষ্টির মান:
নাম | পরিমাণ |
---|---|
শক্তি | ৬০ কিলোক্যালরি |
কার্বোহাইড্রেট | ১৫ গ্রাম |
শর্করা | ১৩.৭ গ্রাম |
ফাইবার | ১.৬ গ্রাম |
মোটা | ০.৩৮ গ্রাম |
সম্পৃক্ত | ০.০৯২ গ্রাম |
মনোস্যাচুরেটেড | ০.১৪ গ্রাম |
পলিঅনস্যাচুরেটেড | ০.০৭১ গ্রাম |
ওমেগা 3 | ০.০৫১ গ্রাম |
ওমেগা -6 | ০.০১৯ গ্রাম |
প্রোটিন | ০.৮২ গ্রাম |
ভিটামিন এ | ৫৪ মাইক্রোগ্রাম |
বিটা-ক্যারোটিন | ৬৪০ মাইক্রোগ্রাম |
লুটেইন জেক্সানথিন | ২৩ মাইক্রোগ্রাম |
থায়ামিন | ০.০২৮ মিলিগ্রাম |
রিবোফ্লাভিন | ০.০৩৮ মিলিগ্রাম |
নিয়াসিন | ০.৬৬৯ মিলিগ্রাম |
প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড | ০.১৯৭ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন বি 6 | ০.১১৯ মিলিগ্রাম |
ফোলেট | ৪৩ মাইক্রোগ্রাম |
কোলিন | ৭.৬ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন সি | ৩৬.৪ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন ই | ০.৯ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন কে | ৪.২ মাইক্রোগ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ১১ মিলিগ্রাম |
তামা | ০.১১১ মিলিগ্রাম |
আয়রন | ০.১৬ মিলিগ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম | ১০ মিলিগ্রাম |
ম্যাঙ্গানিজ | ০.০৬৩ মিলিগ্রাম |
ফসফরাস | ১৪ মিলিগ্রাম |
পটাসিয়াম | ১৬৮ মিলিগ্রাম |
সেলেনিয়াম | ০.৬ মাইক্রোগ্রাম |
সোডিয়াম | ১ মিলিগ্রাম |
দস্তা | ০.০৯ মিলিগ্রাম |
জল | ৮৩.৫ গ্রাম |
আমের রসের উপকারিতা:
১. আমের রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
আম হল এমন একটি ফল যা প্রয়োজনীয় ভিটামিনের উৎস যেগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমের রসের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২. আমের রস হজমশক্তি উন্নত করে:
আমের রস খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়। কারণ আমের রসের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার যা হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩. আমের রস হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়:
আমের রস হলো একটি সুষম খাবার। যা আমাদের শরীরে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে, শরীরে ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমের রসের মধ্যে আছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম জাহিদ রোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে।
৪. আমের রস ক্যান্সারে ঝুঁকি কমাতে সহায়ক:
আমের রস ক্যান্সারে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কারণ আমের রসের মধ্যে আছে ক্যারোটিনয়েড, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, টারপেনয়েড ও পলিফেনল, যা ক্যান্সার প্রতিরোধের সহায়ক।
৫. আমের রস দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক:
আমের রস আমাদের দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। কারণ এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন যা চোখের জন্য খুবই উপকারী।
৬. আমের রস রক্তাল্পতায় উপকারী:
যেসব ব্যক্তিরা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন তাদের জন্য আমের রস খুবই উপকারী। কারণ আমের রসের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন। যা শরীরের লোহিত রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৭. আমের রস ওজন কমাতে সহায়ক:
আমের রস ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ আমের রসের মধ্যে আছে ফাইবার যা, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৮. আমের রস হাড় মজবুত করে:
আমের রস আমাদের শরীরে হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। কারণ আমের রসের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা হাড় মজবুত এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করে থাকে।
Also see : রিমাইন্ডার ম্যানেজ করতে আমাকে সাহায্য করুন।
আমের জুস বানাবার পদ্ধতি:
- বেশ কয়েকটি তাজা পাকা আম নিতে হবে।
- তারপর ভালোভাবে ওই পাকা আমগুলোকে ধুয়ে নিতে হবে।
- তারপরে আমের খোসা ভালো করে ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
- শুধুমাত্র আমের সাসটা নিতে হবে আটিটা ফেলে দিতে হবে।
- তারপর আমের রস করার জন্য মিক্সার গ্রাইন্ডার অথবা জুসারের ব্যবহার করতে হবে।
- আমের রস বের করার পর ওতে সামান্য একটু দুধ মিশিয়ে ভালো ভাবে ঘেঁটে নিতে হবে।
- আমের জুসের মধ্যে কোন মিষ্টি যোগ করার দরকার নাই।
- তাহলে এই তৈরি হয়ে যাবে আমের জুস।
আমের রসের অপকারিতা:
- আমের রসে অনেক ব্যক্তির অ্যালার্জি হতে পারে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় আমের রস খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় আমের জুস খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- অধিক মাত্রায় আমের জুস খাওয়ার ফলে পাতলা পায়খানা হতে পারে।
আমের রসের অপকারিতা |
উপসংহার:
আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নিলাম আমের জুস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি বোঝার মতো হয়েছে। যদি ভালো লাগে তো বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ বন্ধুদের। সুস্থ থাকুন।