Green chilli : কাঁচা লঙ্কার উপকারিতা ও অপকারিতা।
কাঁচা লঙ্কার উপকারিতা ও অপকারিতা। |
কাঁচা লঙ্কা ও লাল লঙ্কা আমাদের বাঙালি রান্নাঘরে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। আমাদের বাঙালি রান্নাঘর কাঁচা লঙ্কা ছাড়া সম্পূর্ণ নয়। কাঁচা লঙ্কা তার তীক্ষ্ণতার কারণে পরিচিত ও খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি কাঁচা লঙ্কার আচারও খুব মজা করে খাওয়া হয়ে থাকে। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নেব কাঁচা লঙ্কার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
কাঁচা লঙ্কার বিজ্ঞান সম্মত নাম কি?
- কাঁচা লঙ্কার বিজ্ঞান সম্মত নামটি হল Capsicum Annuum।
এবার আমরা জেনে নেবো কাঁচা লঙ্কার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা লঙ্কার পুষ্টিগুণ:
নাম, পরিমাণ
জল ,87.74 গ্রাম
ক্যালোরি, 40 কিলোক্যালরি
শক্তি, 167 কিলোজুল
প্রোটিন, 2 গ্রাম
চর্বি, 0.2 গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ,9.46 গ্রাম
ফাইবার, 1.5 গ্রাম
শর্করা ,5.1 গ্রাম
ক্যালসিয়াম, 18 মিলিগ্রাম
আয়রন ,1.2 মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম, 25 মিলিগ্রাম
ফসফরাস, 46 মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম, 340 মিলিগ্রাম
সোডিয়াম, 7 মিলিগ্রাম
জিংক ,0.3 মিলিগ্রাম
কপার, 0.174 মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ, 0.237 মিলিগ্রাম
সেলেনিয়াম, 0.5 মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন সি, 242.5 মিলিগ্রাম
থায়ামিন, 0.09 মিলিগ্রাম
রিবোফ্লাভিন, 0.09 মিলিগ্রাম
নিয়াসিন, 0.95 মিলিগ্রাম
ফটোথেনিক অ্যাসিড, 0.061 মিলিগ্রাম
ভিটামিন-বি৬, 0.278 মিলিগ্রাম
ফোলেট, 23 মাইক্রোগ্রাম
কলিন, 11.1 মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন এ, RAE 59 মাইক্রোগ্রাম
বিটা ক্যারোটিন, 671 মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন এ , 1179 আইইউ
লুটেইন + জেক্সানথিন, 725 মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন ই ,0.69 মিলিগ্রাম
স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, 0.021 গ্রাম
মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, 0.011 গ্রাম
পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, 0.109 গ্রাম
এবার আমরা জেনে নেব কাঁচা লঙ্কার উপকারিতা সম্পর্কে।
কাঁচা লঙ্কার উপকারিতা:
১. কাঁচা লঙ্কা হার্ট সুস্থ রাখতে উপকারী:
কাঁচা লঙ্কা খাওয়ার ফলে আমাদের হার্ট সুস্থ থাকে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যে কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি যৌগ যা কাঁচা লঙ্কা কে মসলাদার এবং স্বাস্থ্যকর করে তুলেছে। আর এই ক্যাপসাইসিন যৌগটি আমাদের হার্টের সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে ও হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।
২. কাঁচা লঙ্কা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ:
কাঁচা লঙ্কার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুনে ভরপুর আছে। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাবে অ্যান্টিডেশন প্রতিরোধ করতে পারে। অ্যান্টিডেশন হল একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া, যেটা মুক্ত রেডিক্যাল তৈরি করতে পারে আর যা কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের অক্সিডেটিভ ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে।
৩. কাঁচালঙ্কা ওজন কমাতে সহায়ক:
এখনকার বর্তমান যুগে মানুষের স্থূলতায় একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই স্থূলতার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা লঙ্কা ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি গবেষণা দেখা গেছে, কাঁচা লঙ্কার মধ্যে পাওয়া ক্যাপসাইসিন বৈশিষ্ট্য স্থূলতা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক হতে পারে। ক্যাপসাইসিন এর অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য আছে। যা স্থূলতা দূর করার সাথে সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণের রাখতেও উপকারী।
৪. চোখের জন্য উপকারী কাঁচা লঙ্কা:
কাঁচালঙ্কা, চোখ সুস্থ রাখতে খুবই উপকারী হতে পারে। কারণ কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে বিটা ক্যারোটিন বৈশিষ্ট্য। এটা দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি চোখ সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। এছাড়াও একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে লুটেইন ও জিক্সানথিনের মত পুষ্টির সাথে সাথেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। আর কাঁচা লঙ্কার এই গুণাবলী ও পুষ্টিগুন চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে।
৫. কাঁচা লঙ্কা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকার কারণে অনেক সময় ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশি, অ্যালার্জি, শরীর দুর্বল ইত্যাদি সমস্ত দেখা দিতে পারে। এইরকম পরিস্থিতিতে কাঁচা লঙ্কা ব্যবহারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে উপকারী হতে পারে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যে কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এর মত পুষ্টি উপাদান। আর এই পুষ্টি উপাদানগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খুবই উপকারী হতে পারে।
৬. কাঁচা লঙ্কার ডাইবেটিসের জন্য উপকারী:
আমাদের শরীরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি হলে ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে। এইরকম সমস্যা দূর করতে কাঁচা লঙ্কা খুবই উপকারী হতে পারে। কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি যৌগ।
গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাপসাইসিন যৌগটির মধ্যে অ্যান্টিডাইবেটিক বৈশিষ্ট্য আছে। এই বৈশিষ্ট্যটির ডায়াবেটিসের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আর যদি কোন ব্যক্তি ডায়াবেটিসের ওষুধ খান তাহলে তার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অবশ্যই কাঁচা লঙ্কা খাওয়া উচিত।
৭. কাঁচা লঙ্কার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
আমাদের শরীরের রক্তচাপ বেড়ে গেলে হার্টের সমস্যার সাথে সাথে আরো নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে ক্যাপসাইসিন বৈশিষ্ট্য যা এই সমস্যা দূর করতে উপকারী হতে পারে। ক্যাপসাইসিন এতে হাইপারটেনসিভ বৈশিষ্ট্য আছে। যেটা সম্পত্তি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উপকারী হতে পারে।
৮. কাঁচা লঙ্কা হজম শক্তি উন্নতিতে সহায়ক:
কাঁচা লঙ্কা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে আরো শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কাঁচা লঙ্কা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যাধিতে ইতিবাচক প্রভাব। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যাধির মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা।
যেটা হজম প্রক্রিয়ার প্রতিবন্ধতার কারণে হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি যৌগ, যা হজম শক্তি উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারেন।
৯. কাঁচা লঙ্কা হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী:
কাঁচা লঙ্কা আমাদের দাঁত ও হাড় কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কারণ কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণে ভিটামিন সি, যা হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী।
১০. ব্যথা কমাতে উপকারী কাঁচা লঙ্কা:
জয়েন্টে ব্যথা ও ফোলার সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দিতে পারে কাঁচা লঙ্কা। কারণ কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি আর্থ্রাইটিস বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্য গুলি ফোলা ভাব এবং ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এমনকি বাতের ব্যথা কমাতেও সহায়ক কাঁচা লঙ্কা।
১১. কাঁচা লঙ্কা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমাতে সহায়ক:
কাঁচা লঙ্কা আমাদের শরীরকে ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এটি গবেষণায় দেখা গেছে কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান যা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। আর এই বৈশিষ্ট্য গুলি ব্যাকটেরিয়া এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের সমস্যা হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
১২. কাঁচা লঙ্কা ক্যান্সারে উপকারী:
কাঁচা লঙ্কা ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করতে উপকারী হতে পারে। কারণ কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে ক্যাপসাইসিন বৈশিষ্ট্য। আর ক্যাপসাইসিন একটি অ্যান্টিক্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারে।
এতসব গুণ থাকা সত্বেও কাঁচা লঙ্কাকে ক্যান্সারের নিরাময় হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। কাঁচা লঙ্কা শুধুমাত্র কিছু পরিমানে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। ক্যান্সার প্রতিরোধ শুধুমাত্র চিকিৎসকের দেওয়া চিকিৎসাতেই উপকারী হতে পারে।
১৩. কাঁচা লঙ্কা চাপ উপশম করতে সহায়ক:
কাঁচা লঙ্কা মেজাজ উন্নত করতে ও মানসিক চাপ দূর করতে উপকারী। কারণ কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে ক্যাপসাইসিন বৈশিষ্ট্য, যা মানসিক চাপ কমাতে ও মেজাজ উন্নত করতে উপকারী হতে পারে।
১৪. কাঁচা লঙ্কা চুলের জন্য উপকারী:
কাঁচালঙ্কা স্বাস্থ্য ও ত্বকের পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও উপকারী। কাঁচা লঙ্কার মধ্যে থাকা ক্যাপসাইসিন যৌগ টাক পড়ার সমস্যা দূর করতে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে উপকারী হতে পারে।
১৫. কাঁচা লঙ্কা ত্বকের জন্য উপকারী:
কাঁচা লঙ্কার আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। কারণ কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে ভিটামিন সি, যা তোকে জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, বার্ধক্য প্রতিরোধ এবং সূর্যের ক্ষতিকারক গতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা পেতে সাহায্য করে।
১৬. ঠান্ডা ও সাইনাস প্রতিরোধের কাঁচা লঙ্কা উপকারী:
কাঁচা লঙ্কা আমাদেরকে সাধারণ সর্দি ও সাইনাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
১৭. কাঁচা লঙ্কা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী:
কাঁচা লঙ্কা আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। কারণ কাঁচা লঙ্কার মধ্যে আছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের কার্যকর এবং আলঝেইমার সমস্যার উপকারী হতে পারে।
এবার আমরা জেনে নেব কাঁচা লঙ্কার ব্যবহার সম্পর্কে।
কাঁচা লঙ্কার ব্যবহার:
- কাঁচা লঙ্কা আমরা সরাসরি ভাত-মুড়ি দিয়ে খেতে পারি কাঁচা।
- বেশির ভাগ শাক-সবজি ও ডাল তৈরিতে ব্যবহার করতে পারি কাঁচা লঙ্কা প্রয়োজন মতো।
- কাঁচা লঙ্কা সালাদ হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।
- খাবারের সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা ভেজেও খেতে পারেন। কাঁচা লঙ্কাটি শুধু মাঝে লম্বালম্বি করে কেটে নিতে হবে, তারপর একটু লবণ ছিটিয়ে ভেজে নিতে হবে তেলে।
- এছাড়াও কাঁচা লঙ্কার আচারও তৈরি করে খেতে পারেন।
কাঁচা লঙ্কার আচারের রেসিপি:
উপাদান :
- এক কাপ কাঁচা লঙ্কা, টুকরো করে কাটা
- এক টেবিল চামচ মৌরি বীজ
- এক চা চামচ জিরা
- দুই চা চামচ মেথি বীজ
- ১/৪ চা চামচ হিং
- এক টেবিল চামচ সরিষা বা সরিষা দানা
- এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- দেড় চা চামচ ভিনেগার
- ১/৪ কাপ সরিষার তেল
- দুই চা চামচ লবণ
পদ্ধতি:
- কাঁচা লঙ্কার আচার তৈরি করতে প্রথমে মৌরি বীজ, মেথি, জিরা এবং সরিষার বীজ একটি ছোট চওড়া নন-স্টিক প্যানে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে এক মিনিটের জন্য ভাজতে হবে।
- তারপর এই মিশ্রণটি ঠান্ডা করে মিক্সারে ভালো ভাবে করে পিষে নিতে হবে।
- একটি গভীর পাত্রে মিশ্রণটি বের করে বাকি সব উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
- তারপর আপনার কাঁচা লঙ্কার আচার তৈরি হয়ে যাবে। তারপর এটি একটি এয়ার-টাইট পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।
- মাঝে মাঝে রোদ দিতে হবে।
কাঁচা লঙ্কা না লাল লঙ্কা কোনটি ভালো?
লাল লঙ্কার থেকে কাঁচালঙ্কায় বেশি উপকারী হতে পারে। কেননা, কাঁচা লঙ্কা যেমন আলসার এবং ক্যান্সারের সমস্যাই যেমন উপকারী, ঠিক অন্যদিকে লাল লঙ্কা এই দুটি সমস্যায় ঘটাতে পারে।
এবার আমরা জেনে নেব কাঁচা লঙ্কা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।
কাঁচা লঙ্কার অপকারিতা:
- যেসব ব্যক্তিরা মসলাদার খাবার পছন্দ করেন না, সেই সব ব্যক্তিদের জন্য কাঁচা লঙ্কা অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে।
- কিছু কিছু কাঁচা লঙ্কা খুবই ঝাল হয় যার ফলে মুখে জ্বালা পোড়া সৃষ্টি।
- অতিরিক্ত মাত্রায় কাঁচা লঙ্কা খাওয়া আমাদের শরীরে বিষাক্ত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
উপসংহার:
আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নিলাম কাঁচা লঙ্কার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের বোঝার মত হয়েছে। যদি ভালো লাগে আর যদি আপনাদের উপকারে আসে তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন, কমেন্টে জানান। সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।