Apricot Fruit- খুবানি বা এপ্রিকট ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার। Benefits of apricot in Bengali Language

Apricot Fruit- খুবানি বা এপ্রিকট ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার। Benefits of apricot in Bengali Language“. এপ্রিকট এই নামটা হয়তো অনেকেই শোনেননি আবার অনেকেই শুনেছেন। এপ্রি কার্ড টক মিষ্টি স্বাদের জন্য গোটা পৃথিবীতে খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। এটি দেখতে সুন্দর আকৃতি এবং ভিন্ন স্বাদের যে কোন খাদ্য প্রেমিকের পাগল করে দিতে পারে। পুষ্টিগুণের ভরপুর হওয়ার কারণে অনেক ধরনের খাবারে এই রসালো ফল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সুস্থ থাকার জন্য অন্যান্য ফলের সাথে খাদ্য তালিকায় এপিকটকেও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নেব এপিকট ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

Apricot Fruit- এপ্রিকট ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার। Benefits of apricot in Bengali Language
Apricot Fruit- এপ্রিকট ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার। Benefits of apricot in Bengali Language

খুবানি বা এপ্রিকট এর প্রজাতি:

  • আনশু এপ্রিকট – গোলাপি রঙের ফুল হয়, এটি পূর্ব এশিয়া।
  • সাধারণ এপ্রিকট – মধ্য এশিয়া ও চীনে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়ে থাকে।
  • তিব্বত এপ্রিকট – তিব্বত, কিংহাই, শানসি, সিচুয়ানে চাষ করা হয়।
  • মেই কাউন্টি এপ্রিকট – ডবল ফুল যুক্ত, শানসি ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের প্রজাতির হয়।

খুবানি বা এপ্রিকট বিজ্ঞান সম্মত নামটি কি?

খুবানি বা এপ্রিকট বিজ্ঞান সম্মত নামটি হল Prunus Armeniaca ।

খুবানি বা এপ্রিকট গাছ কেমন হয়?

খুবানি বা এপ্রিকট গাছটি আট থেকে বারো মিটার লম্বা হয়। এ পাতাগুলি ডিম্বাকৃতি হয়। গোলাকার ভিত্তি, সূক্ষ্ম ডগা এবং একটি সূক্ষ্ম দানার মার্জিন সহ পাতাটি। ফুলটি পাঁচটি পাপড়ি বিশিষ্ট সাদা এবং গোলাপি রঙের হয়। বসন্তকালের শুরুতেই পাতার আগায় উৎপাদিত হয় ফুলগুলি। ফলটি দেখতে একটি ছোট্ট পিচের মত, হলুদ থেকে কমলা রঙের হয়। সূর্যের সংস্পর্শে থাকার ফলে পাশের লাল রঙের হয়। ফলের খোসা মসৃণ হয়। খুব ছোট একক বীজ বিশিষ্ট এপ্রিকট ফলটি। ফলটির রসালো এবং স্বাদের মিষ্টি। একটি শক্ত পাথরের খোসার মধ্যে আবদ্ধ থাকে এপ্রিকট।

এবার আমরা ‌এপ্রিকটের এর পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জেনে নেব।

খুবানি বা এপ্রিকটর পুষ্টি উপাদান:

  • খাদ্য শক্তি
  • প্রোটিন
  • ভিটামিন সি 
  • ভিটামিন বি ৬
  • ভিটামিন এ 
  • ভিটামিন ই 
  • ভিটামিন কে
  • ফোলেট
  • থায়ামিন 
  • নিয়াসিন 
  • রিবোফ্লাভিন
  • বিটা ক্যারোটিন
  • ফাইবার
  • আয়রন
  • ক্যালসিয়াম
  • পটাশিয়াম 
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • ম্যাঙ্গানিজ
  • জল
  • ফ্যাট 
  • কার্বোহাইড্রেট 
  • শর্করা 
  • জিংক
  • সেলেনিয়াম

প্রতি ১০০ গ্রাম খুবানি বা এপ্রিকটর মধ্যে পুষ্টি উপাদান:

Sl.no Nutition Per100g
1. জল  ৮৬.৩৫ গ্রাম
2. প্রোটিন ১.৪ গ্রাম
3. কার্বোহাইড্রেট ১১.১২ গ্রাম
4. ফ্যাট ০.৩৯ গ্রাম
5. ফাইবার ২ গ্রাম
6. ক্যালসিয়াম ১৩ মিলিগ্রাম 
7. ম্যাগনেসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম 
8. পটাশিয়াম ২৫৯ মিলিগ্রাম 
9. ফসফরাস  ২৩ মিলিগ্রাম 
10. আয়রন  ০.৩৯ মিলিগ্রাম 
11. শর্করা ৯.২৪ গ্রাম
12. সোডিয়াম  ১ মিলিগ্রাম 
13. জিংক ০.২ মিলিগ্রাম 
14. ম্যাঙ্গানিজ ০.৭৭ মিলিগ্রাম 
15. সেলেনিয়াম  ০.১ মাইক্রোগ্রাম
16. থায়ামিন ০.৩ মিলিগ্রাম
17. নিয়াসিন ০.৬ মিলিগ্রাম 
18. রিবোফ্লাভিন ০.০৪ মিলিগ্রাম 
19. ভিটামিন সি ১০ মিলিগ্রাম 
20. ভিটামিন বি৬  ০.২৪ মিলিগ্রাম 
21. ভিটামিন এ  ৯৬ মাইক্রোগ্রাম
22. ভিটামিন কে  ৩.৩ মাইক্রোগ্রাম
23. ফোলেট  ৯ মাইক্রোগ্রাম
24. বিটা ক্যারোটিন ১০৯৪ মাইক্রোগ্রাম
25. স্যাচুয়েটেড ফ্যাট ০.০২৭ গ্রাম
26. মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ০.১৭ গ্রাম
27. পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট  ০.০৭৭ গ্রাম

এবার আমরা জেনে নেব এপ্রিকটের উপকারিতা সম্পর্কে‌।

খুবানি বা এপ্রিকটর উপকারিতা:

১. খুবানি বা এপ্রিকট দৃষ্টি শক্তির উন্নত করতে সহায়ক:

বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে দৃষ্টি শক্তি কমতে শুরু করে। বিশেষ করে চল্লিশ বছর বয়সের পর এই দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই দুর্বল হওয়ার একটি কারণ হলো পুষ্টির অভাব। বিটা ক্যারোটিন নামক একটি উপাদান এর কারনে চোখ দুর্বল হয়ে পড়ে। আর এপ্রিকটের মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। যা এই সমস্যার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

২. খুবানি বা এপ্রিকট হজম শক্তি উন্নত করে:

এপ্রিকট খাওয়ার ফলে আমাদের হজম শক্তি উন্নত হয়। কারণ এর মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। আর ফাইবার পরিপাকতন্ত্র সুচারুভাবে চালনা করতে সহায়ক। এই এপ্রিকট খাওয়ার ফলে বদ হজমজনিত সমস্যা দূর হতে পারে।

৩. খুবানি বা এপ্রিকট ওজন কমাতে সহায়ক:

এপিকট ওজন কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ওজোন কমাতে হলে এপ্রিকটের রসের পরিবর্তে পুরো ফল খাওয়া উচিত। কারণ এপ্রিকটের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার তৃপ্তি হরমোন নিঃসরণ করে। হলে পেট পরিতৃপ্তি বোধ করে। যখন বার বার খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও থাকে না, তখন ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।

৪. খুবানি বা এপ্রিকট ক্যান্সার প্রতিরোধক:

খুবানি বা এপ্রিকট ফল সরাসরি খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে রক্ষা পেতে পারবেন না। তবে কার্নেল, সতেজ এপ্রিকট বীজের ভোজ্য অংশ ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এটি খাওয়ার ফলে কোলন ক্যান্সারে বাঁধা দেয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এপ্রিকটের ওপর নির্ভর না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৫. খুবানি বা এপ্রিকট ত্বকের জন্য উপকারী:

ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে এই এপ্রিকট। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এপ্রিকটের মধ্যে আছে আন্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্যটি ত্বকের অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বার্ধক্যের লক্ষণ যেমন ফাইন্ড লাইন, বলিরেখা দূর করতে সহায়ক। এপ্রিকটের মধ্যে উপস্থিত আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৬. খুবানি বা এপ্রিকট চুলের জন্য উপকারী:

এপ্রিকট চুলের জন্য খুবই উপকারী। চুলের বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়ে থাকে। যার মধ্যে একটি অন্যতম পুষ্টি হল আয়রন। আয়রনের অভাবে অনেক সময় চুল পড়তে পারে। এই আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে এপ্রিকট।

৭. খুবানি বা এপ্রিকট হৃদরোগের জন্য উপকারী:

এপ্রিকট খাওয়ার ফলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। কারণ এপ্রিকটের মধ্যে আছে ফেনোলিক নামক ফাইটোকেমিক্যাল। এই উপাদানটি হৃদরোগের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৮. খুবানি বা এপ্রিকট ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে:

আমাদের শরীরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে। ডায়াবেটিসের সমস্যা এড়াতে সীমিত পরিমাণে এপ্রিকট খেতে পারেন। এপ্রিকট আমাদের শরীরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা হলেও সাহায্য করে।

৯. এপ্রিখুবানি বা এপ্রিকট কট রক্তশূন্যতা দূর করে:

রক্তাল্পতার বা রক্ত শূন্যতার কারণে শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা হ্রাস পায় এবং অক্সিজেন অঙ্গে পৌঁছাতে পারে না। রক্তাল্পতা এবং ফোলেটের অভাবের কারণে হয়ে থাকে এই সমস্যা। এপ্রিকট আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে, এটি খাওয়ার ফলে এই সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও উপকার পাওয়া যাবে।

১০. খুবানি বা এপ্রিকট তরল ভারসাম্য বজায় রাখে:

শরীরে যদি তরল ভারসাম থাকে তাহলে হাইড্রেশন, ওভারহাইড্রেশন ও ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সুষম পরিমাণে জল, সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকা প্রয়োজন। এইগুলি ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে কার্যকরী করে শরীরকে তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এপ্রিকট।

১১. প্রদাহ কমাতে এপ্রিকট উপকারিতা:

শরীরে প্রদাহ কমাতে এপ্রিকট খাওয়া যেতে পারে। এপ্রিকট মধ্যে আছে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও, এপ্রিকটের বীজের মধ্যেও ভোজ্য অংশ কোলনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

১২. এপ্রিকট কানের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে:

এপ্রিকট কানের ব্যথা কমাতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এপ্রিকটের মধ্যে আছে ব্যাথা নাশক বৈশিষ্ট্য।

১৩. এপ্রিকট রক্তচাপের সমস্যায় উপকারী:

এপ্রিকট রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কারণ এপ্রিকটের মধ্যে আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফাইবারের মতো উপাদান। যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১৪. এপ্রিকট হাড় মজবুত করে:

এপ্রিকট হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। কারণ এপ্রিকটের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। যা হাড় সুস্থ রাখতে এবং মজবুত রাখতে সাহায্য করে।

১৫. এপ্রিকট পেশি তৈরিতে সহায়ক:

এপ্রিকট পেশি তৈরি করতেও সাহায্য করে। শুকনো এপ্রিকট এর মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণে প্রোটিন। যা পেশি গুলি রক্ষণাবেক্ষণ করতে এবং পেশির বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান।

১৬. এপ্রিকট আলসারের জন্য উপকারী:

এপ্রিকট আলসাড়ের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কারণ এপ্রিকটের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টৈ ভরপুর। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। আর এই ফ্রি র্যাডিক্যালের বা ফ্রি অনু শরীরে আলসার তৈরি করতে পারে। এই জন্য এটি মানা যায় যে, এপ্রিকটের মধ্যে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট এর প্রভাব আলসার কমাতে সাহায্য করে।

খুবানি বা এপ্রিকট বীজের উপকারিতা:

  • এপ্রিকট বীজে পুষ্টিগুণের ভরপুর।
  • এপ্রিকট বীজে ভোজ্য তেল পাওয়া যায়, তারও উপকারিতা আছে।
  • এপ্রিকট বীজ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • এপ্রিকট বীজ ওষুধ এবং প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হয়।
  • এপ্রিকট বীজ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

খুবানি বা এপ্রিকটর ব্যাবহার:

  • সকাল বেলায় জল খাবারের সাথে দইয়ের সঙ্গে এপ্রিকট মিশিয়ে বা ওটস মিলের সাথে খেতে পারেন।
  • সরাসরি এপ্রিকট ভালো ভাবে ধুয়ে খেতে পারেন।
  • মিল্ক থেকে এপ্রিকট মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • ফলের সালাদের সাথে এপিকট যোগ করা যেতে পারে।
  • এপ্রিকটের বীজের ভিতর একটি বাদামের মতো দেখতে ভোজ্য অংশ থাকে, সেটা খাওয়া হয়।
  • শুকনো এপ্রিকট খাওয়া যেতে পারে। এটা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

এপ্রিকট খাওয়ার সঠিক সময়:

এপ্রিকট ফল সকালবেলায় বা বিকালবেলায় যেকোনো সময় পরিমাণ মতো খাওয়া যেতে পারে।

খুবানি বা এপ্রিকট খাওয়ার পরিমাণ:

এপ্রিকট খাওয়ার পরিমাণ হলো প্রত্যেকদিন চার থেকে পাঁচটি খাওয়া যেতে পারে।

এবার আমরা জেনে নেব এপ্রিকট খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।

খুবানি বা এপ্রিকটর অপকারিতা:

  • এপ্রিকট বিষাক্ত প্রভাবও ফেলতে পারে। আবার এপ্রিকট খাওয়ার ফলে শিশুদের বিষক্রিয়াও হতে পারে।
  • শুকনো এপ্রিকট ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। ‌তা না হলে গ্যাস অম্বল হতে পারে।
  • এপ্রিকটের বিচের ভিতরে কার্নেল খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যাও হতে পারে।
  • আবার কোন ব্যক্তির এপ্রিকট খাওয়ার ফলে অ্যালার্জিও হতে পারে।

এপ্রিকট সম্পর্কে অন্যান্য কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর:

এপ্রিকট কোন ঋতুতে খাওয়া যায়? এর নির্দিষ্ট ঋতু আছে কি?

এপ্রিকট সব ঋতুতেই খাওয়া যেতে পারে। তবে এটি গ্রীষ্মকালে বিশেষভাবে খাওয়া হয়।

খুবানি বা এপ্রিকট খেলে কি ওজন বাড়ে?

না, অল্প পরিমাণে এপ্রিকট খেলে ওজন কমানো যায়।

ভারতের কোন অঞ্চলে খুবানি বা এপ্রিকট পাওয়া যায়?

ভারতের যেকোনো জায়গায় পাওয়া যায়, তবে এপ্রিকট শীতল অঞ্চলে বা ঠান্ডা জায়গায় চাষ করা হয়।

শুকনো এপ্রিকট কি বেশি চিনি?

না, শুকনো এপ্রিকট মধ্যে মাঝারি পরিমাণে চিনি থাকে।

খুব বেশি খুবানি বা এপ্রিকট খেলে কি হবে?

অতিরিক্ত মাত্রায় এপ্রিকট খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে ক্ষতি হতে পারে।

খুবানি বা এপ্রিকট কি রাতে খাওয়া যাবে?

এপ্রিকট খাওয়া দিনের বেলাতেই ভালো, তবে রাতের বেলায়ও খাওয়া যেতে পারে।

দিনের বেলায় কতগুলো এপ্রিকট খেতে হবে?

এপ্রিকট খাওয়ার সঠিক পরিমাণ এখন স্পষ্ট নয়। তবে এটি এক চতুর্থ অংশ কাপের অর্থাৎ প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ গ্রাম খাওয়া যেতে পারে।

উপসংহার:

আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নিলাম এপ্রিকট ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা। এছাড়াও জেনে নিলাম এপ্রিকট ফলের বিজ্ঞান সম্মত নাম, এপ্রিকট ফলের প্রজাতি, এপ্রিকট ফল কখন খাওয়া উচিত, এপ্রিকট কিভাবে ব্যবহার করা যায়, এপ্রিকট বীজের উপকারিতা ইত্যাদি সমস্ত রকম বিষয়ে জেনে নিলাম। আশা করি আপনাদের কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি বোধগম্য হয়েছে। ভালো লাগলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। সমস্যা থাকলে কমেন্টে জানান। যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। সুস্থ থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *