How to lighten dark lips. ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়।
এটি একটি খুবই পরিচিত সত্য যে প্রত্যেকের ঠোঁটের বিভিন্ন ছায়া ও রং নিয়ে জন্ম হয়। তবে হাইপারপিগমেন্টেশন ঘটলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ভাবে এর কারণটি নির্ণয় করা ও তারপরে ঠোঁটের কালো রং থেকে মুক্তি পেতে ভালো ভাবে কাজ করে এমন কিছু চিকিৎসার জন্য যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা কৃত্রিম পণ্য অথবা ওষুধের আশ্রয় না নিয়ে প্রাকৃতিক ও জৈব উপাদান দিয়ে এই বিবর্ণতা সম্পূর্ণ রূপে দূর করতে পারেন। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নেব স্বাস্থ্যকর এবং জৈব উপাদান দিয়ে কিভাবে ঠোঁটের কালো দূর করবেন।
ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ:
- লিপস্টিক টুথপেস্ট ইত্যাদির মত কিছু পর্নে অ্যালার্জির প্রক্রিয়াও আপনার অথবা আমাদের ঠোঁটে হাইপারপিগমেন্টেশন এর কারণ হতে পারে।
- সূর্যের আলোতে থাকা এক্সপোজার আমাদের ত্বকের মেলানিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে যার ফলে পিগমেন্টেশন হতে পারে।
- শারীরিক অবস্থার জন্য মেডিকেল থেরাপি যেমন Laugier – Hunziker সিন্ড্রোম ও Peutz – Jeghers সিন্ড্রোম, পওস্টট্রমআটইক পিগমেন্টেশন আপনার অথবা আমার ঠোঁটকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অন্ধকারও দেখাতে পারে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান ধূমপায়ীদের মেলানোসিস নামে পরিচিত এই পিগমেন্টেশন সৃষ্টি হতে পারে।
- এছাড়াও ঠোঁট কালো হওয়া একটি সাধারন কারণ হলো ভিটামিন বি এর অভাবে।
Also Read: “Attitude shayari in hindi“
কালো ঠোঁট দূর করার প্রাকৃতিক প্রতিকার:
১. কালো ঠোঁট দূর করার জন্য ডালিম বা বেদানা:
বেদানার নির্যাস টাইরোসিনেজ কার্যকলাপ ও মেলানিন এর উৎপাদন কমাতে পাওয়া গেছে। এই বৈশিষ্ট গুলি অবশেষ অন্ধকার ঠোঁট হালকা করতে সাহায্য করে।
উপাদান –
- এক চা চামচ বেদানাগুড়ো।
- পরিষ্কার জল।
ব্যবহার –
- এক চা চামচ বেদানাগুড়ো এবং জল দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে।
- তারপর ওই পেস্টটি আপনার ঠোঁটে লাগাতে হবে।
- তারপর ঠোঁটে পেস্টটি শুকিয়ে যাওয়ার পর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
২. ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য নারকেল তেল:
উপাদান –
- নারকেল তেল।
ব্যবহার –
- হাতের আঙুলের সাহায্যে নারকেল তেলটি ঠোঁটে লাগাতে হবে।
- তারপর শুকিয়ে যাওয়ার জন্য ছেড়ে দিতে হবে।
- এই পদ্ধতিটি দিনে দুইবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য শসার রস:
উপাদান –
- কয়েক টুকরো শসা।
ব্যবহার –
- কয়েক টুকরো শসা পিষে নিতে হবে।
- তারপর পেস্টটি আপনার ঠোঁটে লাগাতে হবে।
- ঠোঁটে লাগানোর পর ২০ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে।
- তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে।
- এই পদ্ধতিটি দিনে দুইবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য লেবু এবং মধু:
উপাদান –
- এক চা চামচ লেবুর রস।
- এক চা চামচ মধু।
ব্যবহার –
- লেবুর রস এবং মধু ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
- তারপর ঠোঁটে লাগাতে হবে।
- ঠোঁটে লাগানোর পর ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে।
- তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- এই পদ্ধতিটি দিনে একবার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৫. ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য তিলের তেল:
উপাদান –
- তিলের তেল।
ব্যবহার –
- তিলের তেল আঙুল ঠোঁটে লাগাতে হবে।
- তারপর পনের থেকে কুড়ি মিনিট রেখে দিতে।
- তারপর ধুয়েই ফেলতে পারেন।
- এই পদ্ধতিটি আপনি পুরো দিনের ৩-৪ বার প্রয়োগ করতে পারেন।
৬. ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য হলুদ:
উপাদান –
- এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো।
- পরিষ্কার জল।
ব্যবহার –
- এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো আর জল ভালো ভাবে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
- তারপর এই পেস্টটি ঠোঁটে লাগাতে হবে।
- তারপর ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে।
- তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলতে হবে।
- এই পদ্ধতিটি দিনে একবার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৭. ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য অ্যালোভেরা:
উপাদান –
- আধা চা চামচ সদ্য বের করা অ্যালোভেরার জেল।
ব্যবহার –
- অ্যালোভেরার জেলটি ঠোঁটে লাগাতে হবে।
- তারপর আধা ঘন্টার জন্য ছেড়ে দিতে হবে।
- তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ঠোঁটটা ধুয়ে নিতে হবে।
- এই পদ্ধতিটি দিনে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৮. ঠোঁটে কালো দাগ দূর করার জন্য চিনি:
- দু চা চামচ চিনি।
- তিন চা চামচ মাখন।
- প্রথমে চিনি আর মাখন মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করতে হবে।
- তারপর ওই পেস্টটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
- ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর ঠোঁটে লাগাতে হবে।
- তারপর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- রাতের বেলায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লাগাতে হবে।
- এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
কালো ঠোঁটের চিকিৎসা:
- কালো ঠোঁটের চিকিৎসা মেলানিন উৎপাদনে বাধা দিয়েও কাজ করে। কিন্তু এতে বেশিরভাগ সময়েই বিপরীত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কারণ হতে পারে।
- কালো ঠোঁটের জন্য সাধারন চিকিৎসার বিকল্পের মধ্যে আছে লেজারের ব্যবহার।
কালো ঠোঁট প্রতিরোধ:
- হাইড্রেট থাকার জন্য প্রত্যেকদিন বিপুল পরিমাণে জল পান করা।
- SPF-40 অথবা তার থেকে বেশি যুক্ত লিভ বাম ব্যবহার করতে হবে।
- আপনার অ্যালার্জির যুক্ত জিনিস গুলি ব্যবহার করা থেকে এড়িয়ে যেতে হবে।
- আপনার ঠোঁট ক্রমাগত চোষা থেকে এড়িয়ে চলতে হবে কারণ এটি ঠোঁটকে খুব শুষ্ক করে তোলে।
- নিম্নমানের ঠোঁটের প্রসাধনে ব্যবহার করা থেকে এড়িয়ে যাবেন।
উপসংহার:
আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নিলাম ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে। এছাড়াও জেনে নিলাম কালো ঠোঁটের চিকিৎসা, কালো ঠোঁট প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে। আশা করি আপনাদের কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি বোঝার মতো হয়েছে। যদি ভালো লাগে তো বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ বন্ধুদের। সুস্থ থাকুন।