Raisin – কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।Raisins benefits and side effects.

Raisin –  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।Raisins benefits and side effects. কিসমিস আমরা প্রায় সকলেই খেতে পছন্দ করি। কিসমিস হল একটি শুকনো ফল। কিসমিস খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি তার উপকারিতা। কিশমিশ বিভিন্ন রকম ভাবে আমাদের শরীরে উপকার করে। যেমন হজম শক্তি উন্নত করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে ইত্যাদি বিভিন্ন উপকারিতা আছে কিসমিসের। তো আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নেব কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ কিছু অজানা তথ্য।

Raisin -  কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।


kismis 500gm price in India – Amazon Brand – Solimo Premium Raisins, 500 g

কিসমিস কি?

কিসমিস হল একটি শুকনো ফল যেটা আঙুর ফলকে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। আঙুর ফলের আদ্রতা বের করে তৈরি করা হয় কিসমিস। আঙুর ফলকে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে রোদে শুকানো হয়। তারপর প্রস্তুত হয় কিসমিস। 

কিসমিস ইংরেজি কি?

কিসমিসের ইংরেজি নামটি হল Raisin।

কিসমিস এর প্রকারভেদ:

কিসমিস বিভিন্ন ধরনের হয়। কিন্তু আমরা এখানে তিন রকমের কিসমিসের কথা বলছি।

সুলতানা কিসমিস –

 সুলতানা আঙুর শুকিয়ে সুলতানা কিসমিস তৈরি করা হয়। সুলতানা কিসমিস তৈরি করার আগে আঙুর গুলিকে শুকনোর আগে একটি তৈলাক্ত দ্রবণে ভিজিয়ে রাখা হয়। তাই এই কিসমিসের রং সোনালী রঙের হয়। এই কিসমিস টি আকারে ছোট এবং স্বাদে খুবই মিষ্টি হয়।

বাদামি কিসমিস –

 বাদামি কিসমিস তৈরি করা হয়, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আঙ্গুর গুলিকে শুকিয়ে। এই আঙ্গুর গুলি শুকিয়ে যাওয়ার পর তাদের রং বাদামী হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের আঙ্গুর ব্যবহার করা হয়।

কারেন্টস বা কালো কিসমিস –

কালো কিসমিস তৈরি করা হয় কালো আঙ্গুর থেকে। কালো কিসমিস গুলি কে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। এই কালো কিসমিসের স্বাদ টক মিষ্টি এবং আকারেও ছোট হয়।
কিসমিস এর প্রকারভেদ
এবার আমরা জেনে নেব কিসমিসের পুষ্টিগুন সম্পর্কে।

কিসমিসের পুষ্টিগুন:

  • খাদ্যশক্তি 
  • ফ্যাট 
  • প্রোটিন 
  • কার্বোহাইড্রেট 
  • জল 
  • শর্করা 
  • ফাইবার
  • আয়রন 
  • ক্যালসিয়াম 
  • ম্যাগনেসিয়াম 
  • পটাশিয়াম 
  • সোডিয়াম 
  • সেলেনিয়াম 
  • ফসফরাস 
  • জিংক 
  • কপার
  • থায়ামিন 
  • নিয়াসিন
  • রিবোফ্লাভিন
  • ভিটামিন বি ৬ 
  • ভিটামিন সি 
  • ফোলেট 
  • কলিন
  • ভিটামিন কে 
  • ভিটামিন ই
  • স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড
  • মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড
  • পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড

প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসের পুষ্টিগুণ:

  • খাদ্যশক্তি – ২৯৯ কিলো ক্যালোরি 
  • ফ্যাট – ০.৪৬ গ্রাম
  • প্রোটিন – ৩.০৭ গ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট – ৭৯.১৮ গ্রাম
  • জল – ১৫.৪৩ গ্রাম
  • শর্করা – ৫৯.১৯ গ্রাম
  • ফাইবার – ১.৮৮ মিলিগ্রাম 
  • আয়রন – ১.৪৪ মিলিগ্রাম 
  • ক্যালসিয়াম – ৫০ মিলিগ্রাম 
  • ম্যাগনেসিয়াম – ৩২ মিলিগ্রাম 
  • পটাশিয়াম – ৭৪৯ মিলিগ্রাম 
  • সোডিয়াম – ১১ মিলিগ্রাম
  • সেলেনিয়াম –  ০.৬ মাইক্রোগ্রাম 
  • ফসফরাস – ১০১ মিলিগ্রাম 
  • জিংক – ০.২২ মিলিগ্রাম 
  • কপার – ০.৩১৮ মিলিগ্রাম 
  • থায়ামিন – ০.১০৬ মিলিগ্রাম 
  • নিয়াসিন – ০.৭৬৬ মিলিগ্রাম 
  • রিবোফ্লাভিন – ০.১২৫ মিলিগ্রাম 
  • ভিটামিন বি ৬ – ০.১৭৪ মিলিগ্রাম 
  • ভিটামিন সি – ২.৩ মিলিগ্রাম 
  • ফোলেট – ৫ মাইক্রোগ্রাম 
  • কলিন – ১১.১ মিলিগ্রাম 
  • ভিটামিন কে – ৩.৫ মাইক্রোগ্রাম 
  • ভিটামিন ই – ০.১২ মিলিগ্রাম 
  • স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড – ০.০৫৮ গ্রাম
  • মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড – ০.০৫১ গ্রাম
  • পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড – ০.০৩৭ গ্রাম

এবার আমরা কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেব।

কিসমিসের উপকারিতা:

১. কিসমিস হার্টের জন্য উপকারী:

কিসমিস হার্টের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। কারণ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট এটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কম হয়।

২. কিসমিস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক:

কিসমিস ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কিছুটা হলেও সাহায্য করে। কারণ কিসমিসের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিসমিসের মধ্যে আছে মিথানল নির্যাসে অ্যান্টি-র্যাডিক্যাল বিশিষ্ট্য। দোয়া করলাম ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৩. কিসমিস রক্ত শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে:

যেসব ব্যক্তির রক্ত শূন্যতা বা রক্তাল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য কিসমিস খুবই উপকারী উপাদান। কারণ কিসমিসের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন। যা লোহিত রক্তকণিকার অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে।

৪. কিসমিস শক্তির উৎস:

কিসমিসকে কার্বোহাইড্রেট এর প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আর এটি ব্যায়াম করার সময় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যেটা শরীরে শক্তি প্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৫. কিসমিস ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়ক:

কিসমিস সীমিত পরিবারের খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়। কিসমিসের মধ্যে আছে ডায়াটারি ফাইবার ও প্রিবায়োটিক উপাদান। এই দুটি উপাদান পাকস্থলী সুস্থ রাখে এবং স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য হয়।

৬. কিসমিস অ্যাসিডিটিতে উপকারী:

অ্যাসিডিটি খুবই একটি সাধারন সমস্যা। অ্যাসিডিটির ফলে বুক থেকে পেট পর্যন্ত জ্বালাপোড়া করে। এর থেকে মুক্তি পেতে কিসমিস খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

৭. মুখ ও দাঁতের জন্য উপকারী কিসমিস:

কিসমিস মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। কিসমিসের মধ্যে আছে ফাইটোকেমিক্যাল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ওলিয়ানোলিক অ্যাসিড। যা দাঁতে ক্ষয় সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়াও মুখ গহ্বরের ভিতরে ক্ষতি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া যেমন Mutans Streptococci এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

৮. কিসমিস চুলের জন্য উপকারী:

কিসমিস চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। ফ্রি র‌্যাডিকেল চুলের ক্ষতির প্রধান কারণ হতে পারে। কিসমিসের মধ্যে আছে ফ্রি র‌্যাডিকেল থেকে চুলকে রক্ষা করার ক্ষমতা। কারণ কিসমিসের মধ্যে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা এই ক্ষতির প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।

৯. কিসমিস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে উপকারী:

কিসমিস আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কারন কিসমিসের মধ্যে আছে খনিজ পদার্থ। যা উচ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ফলেহিদ রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।

১০. কিসমিস যৌন স্বাস্থ্যের উপকারী:

কিসমিস খাওয়ার ফলে যৌন স্বাস্থ্যের উপকারিতা পাওয়া যায়। কারণ কিসমিসের মধ্যে আছে বোরন নামক একটি খনিজ। যা নারী এবং পুরুষ উভয়েরই যৌন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

১১. কিসমিস ত্বকের জন্য উপকারী:

কিসমিস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। কারণ কিসমিসের মধ্যে আছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। 

১২. কিসমিস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে:

কিসমিসের মধ্যে আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিন এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এর মত উপাদান, যা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

১৩. কিসমিস হজম শক্তি উন্নত করে:

কিসমিস আমাদের শরীরে হজম শক্তি উন্নতি করতে সাহায্য করে। কারণ কিসমিসের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, যা হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

১৪. কিসমিস হাড় মজবুত করে:

কিসমিস আমাদের শরীরে হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে। কারণ কিসমিসের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর মজবুত করতে এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

১৫. কিসমিস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:

কিসমিস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কারণ কিসমিসের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। যা হজম শক্তি উন্নত করে এবং মল নরম করতে সাহায্য করে। ফলে কিসমিস খাওয়ার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে।

কিসমিসের ব্যবহার:

  • কিসমিস ফ্রুট সালাদের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
  • আবার ব্রোকলি এবং গাজর বা ঋতু অনুযায়ী যে কোন সবজির সাথে কিসমিস মিশিয়ে সালাদ হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।
  • সকালবেলার জল খাবারের ওটসে চিনির পরিবর্তে কিসমিস ব্যবহার করা যেতেও পারে।
  • কিসমিস সরাসরি খাওয়া যেতে পারে।
  • আবার কিসমিস ভিজিয়ে ওই কিসমিস ভেজা জল কিসমিস খাওয়া যেতে পারে।
  • কিসমিস কে মিষ্টি ভাত, ফ্রাইড রাইস, পায়েস এতে দিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
  • কিসমিস অনেক মিষ্টি তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়।

কিসমিস সংরক্ষণ:

কিশ মি ইজ দীর্ঘ সময়ের জন্য ভালো রাখতে ফ্রিজের মধ্যে বায়ুরোধী পাত্রে রেখে রাখা যেতে পারে। যদি এইভাবে রাখা হয় তাহলে এক বছর পর্যন্ত কিসমিস সংরক্ষণ করা যায়।

এবার আমরা জেনে নেব কিসমিসের অপকারিতা সম্পর্কে।

কিসমিসের অপকারিতা:

  1. অতিরিক্ত মাত্রায় কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
  2. অতিরিক্ত মাত্রায় কিসমিস খাওয়ার ফলে ডায়রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে।
  3. অতিরিক্ত মাত্রায় কিসমিস খাওয়ার ফলে গ্যাস, অম্বল, পেট ব্যথা, পেটে ফোলা ভাব সৃষ্টি হতে পারে।
  4. অতিরিক্ত মাত্রায় কিসমিস খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পেতে পারে।
  5. বেশি পরিমাণে কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  6. কিসমিসে আবার অনেক ব্যক্তির অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণ হবে চুলকানি, গায়ে ফুসুরি, ত্বকে লাল ভাব, ফোলা ভাব ইত্যাদি।

কিসমিস সম্পর্কে অন্যান্য কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর:

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কি?

  1. কিসমিস হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
  2. কিসমিস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  3. কিসমিস দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
  4. কিসমিস ওজন কমাতে সহায়ক।
  5. কিসমিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  6. কিসমিস দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
  7. কিসমিস হাড়ের জন্য উপকারী।

কোন কিসমিস স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?

সুলতানা বা সোনালী কিসমিস স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।

দিনে কত কিসমিস খেতে হবে?

প্রত্যেকদিন যদি নিয়মিত কিসমিস খাওয়া হয়, তাহলে কিসমিস ১০ থেকে ১৫ টি খাওয়া উচিত।

প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হবে?

প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বৃদ্ধি হবে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে কিসমিসের মধ্যে।

কিসমিস কি শুক্রাণুর উপকার করে?

কিসমিস শুক্রাণুর গতিশীলতা কে সাহায্য করে।

আমরা প্রত্যেকদিন কিসমিসের জল পান করতে পারি?

সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ভিজিয়ে রাখা কিসমিসের জল পান করার পরামর্শ দেয় চিকিৎসকরা।

রোজ শুকনো কিসমিস খাওয়া কি ভালো?

প্রত্যেকদিন শুকনো কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।

কিসমিস খাওয়ার উপযুক্ত সময় কি?

কিসমিস খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো সকালবেলায় খালি পেটে।

কিসমিস কি ত্বকের জন্য ভালো?

হ্যাঁ, কিশমিশ ত্বকের জন্য উপকারী।

আমরা কি রাতে কিসমিস খেতে পারি?

যেসব ব্যক্তিদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আছে, তারা যদি প্রত্যেক দিন কিসমিস খান, বিশেষ করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে। তাহলে সেই ব্যক্তি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে কিছুটা হলেও আরাম পাবেন।

কয়টি কিসমিস জলে ভিজিয়ে রাখবো?

৮ থেকে ১০ টি কিসমিস এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে তারপর সকালবেলা খেতে হবে।

কয়টি কিসমিস অনেক বেশি?

সাধারণত কিসমিস ৩০ থেকে ৪০ গ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।

কিসমিস ভেজানোর সর্বনিম্ন সময় কত?

কিশমিস ভেজানোর সর্বনিম্ন সময় হল চার ঘন্টা।

কিসমিস বয়স্কদের জন্য ভালো?

বয়স্কদের জন্য কিসমিস উপকারী, তবে সীমিত পরিমানে খাওয়াই উচিত। যেসব বয়স্করা নিয়মিত কিসমিস খান তাদের শরীরে রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কম হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

কিসমিস বাচ্চাদের জন্য ভালো কেন?

কিসমিস বাচ্চাদের জন্য ভালো কারণ কিসমিস হল ভিটামিন বি এবং আয়রনের একটি খুব ভালো উৎস।

প্রতিদিন ভিজিয়ে কিসমিস খেলে কি হবে?

প্রত্যেকদিন ভিজে কিসমিস খাওয়ার ফলে হজম শক্তি উন্নত হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হবে।

কোন কিসমিস ভালো কালো না সবুজ?

বাদামি, সবুজ, সোনালী, কালো কোনো কিসমিসের মধ্যেই বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই।

কিসমিসে কি চিনি থাকে?

হ্যাঁ, কিসমিসে চিনি থাকে।

কিসমিস কি গ্যাস দেয়?

অতিরিক্ত মাত্রায় কিসমিস খাওয়ার ফলে গ্যাস হতে পারে।

কিসমিস কি হিমোগ্লোবিনের জন্য ভালো?

কিসমিস আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

উপসংহার:

আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নিলাম কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্কে। এছাড়াও জেনে নিলাম কিসমিস কি, কিসমিস ইংরেজি কি, কিসমিসের প্রকারভেদ, কিসমিসের পুষ্টিগুন সম্পর্কে ইত্যাদি বিষয়ে। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের বোধগম্য হয়েছে। যদি ভালো লাগে তো বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। কমেন্ট জানান শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য, ধন্যবাদ বন্ধুদের। সুস্থ থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *